বাংলাহান্ট ডেস্ক : সমাজ মাধ্যমে প্রথম পরিচয়। তারপর কথা বলা শুরু। সেখান থেকে ভালোবাসা। অবশেষে বাড়ি থেকে পালিয়ে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করলেন মালদার দুই সমকামী। বাংলা ফের একবার সাক্ষী থাকল সমকামী বিবাহের। টোপর পরে, মালা বদল করে, সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ সারলেন দুই যুবতী।
কালিয়াচকের পপি মণ্ডল আর বামনগোলার প্রতিমা বিশ্বাস মালদা শহরের হ্যান্টা কালীবাড়ি মন্দিরে বিয়ে করেন বুধবার রাতে। এখন কলেজে পড়াশোনা করছেন পপি। সাউথ মালদা কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী সে। বামনগোলা থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা বিশ্বাস নালাগোলার এক স্কুলের পড়ুয়া। পপি ও প্রতিমা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের হ্যান্টা কালীবাড়ি মন্দিরে বুধবার রাতে এই দুজন হাজির হন। মা কালীকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয় সিঁদুর দান, মালাবদল পর্বও। তবে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ দেখা যায়নি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এই দুজনের বিবাহ অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব। দীর্ঘ টালবাহানার পর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দিয়েছে সমকামীতায়, কিন্তু ভারতে সমকামী বিবাহ এখনো আইনি স্বীকৃতি পায়নি। তবে মালদার এই দুই সমকামী সেইসব ব্যাপারে মাথা ঘামাতে নারাজ। একে অপরকে সাথে নিয়ে কাটাতে চান গোটা জীবন।
সমাজ কী বলছে সেই ব্যাপারে নাক না গলিয়ে, নিজেদের ভালবাসার পরিণতি দিতে পেরে খুশি পপি ও প্রতিমা। এই দুইজন জানিয়েছেন, পরিবারের সম্মতি না থাকায় তারা পালিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন। এই সমকামী যুগলের দাবি, সমাজের কথায় তাদের কিছু যায় আসে না। সবশেষে তাদের একটাই কথা, “আমাদের ভালোবাসার জয় হয়েছে।”