বাংলাহান্ট ডেস্ক: সময়টাই খারাপ যাচ্ছে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar)। এক সময় তাঁর ছবি পরপর হিট, সুপারহিট হত। ১০০ কোটি, ১৫০ কোটি তো ছেলেখেলা, ৩০০ কোটির মাইফলকও ছুঁয়ে ফেলত অক্ষয়ের ছবি। বিশেষ করে দেশপ্রেমের উসকানি দেওয়া ছবি হলে তো কথাই নেই। কিন্তু এখন এমনি শনি লেগেছে তাঁর কেরিয়ারে যে সম্রাট পৃথ্বীরাজ এর মতো ছবিও ফ্লপ হচ্ছে।
দীর্ঘ টালবাহানা, বিতর্কের অবসানের পর মুক্তি পেয়েছিল সম্রাট পৃথ্বীরাজ (Samrat Prithviraj)। কিন্তু অক্ষয়ের কেরিয়ারের মোড় ঘুরাতে ব্যর্থ হয়েছে ছবিটি। দর্শকদের একাংশের কাছে প্রশংসা কুড়ালেও বক্স অফিসে ফ্লপ সম্রাট পৃথ্বীরাজ। হতাশ পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী (Chandraprakash Dwivedi) সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ছবির ব্যর্থতা নিয়ে।
একাধিক অভিনেতা এবং প্রযোজনা সংস্থা নাকি সম্রাট পৃথ্বীরাজ ছবিটি করতে অস্বীকার করেছিলেন। অনেকের কাছে ‘না’ শুনে শুনে শেষমেষ যশরাজ ফিল্মস এবং অক্ষয় কুমার ছবিটি করতে রাজি হন। তবুও শেষরক্ষা করা গেল না। পরিচালক বুঝতেই পারছেন না দর্শকদের সমস্যাটা কোথায় হল।
চার বছর পর পরিচালনায় ফিরেছেন চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী। তিনি জানান, প্রথমে সানি দেওলকে (Sunny Deol) মাথায় রেখেই ছবির গল্পটা লিখেছিলেন তিনি। সেটাও আবার ১৮ বছর আগে। কিন্তু সে সময়ে এই ধরনের ছবির বাজার ছিল না তেমন। শেষমেষ ছবিটা তৈরি হল অক্ষয়কে নিয়ে।
ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে ছবির গল্পে। অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, ইতিহাসবিদরা যদি আপত্তি জানিয়ে নিজেদের দিকটা উপস্থাপন করতেন তবে তিনি খুশি হতেন। কিন্তু শুধুমাত্র তাঁর দিকের গল্পটা মানা যাচ্ছে না বলেই সদলবলে ছবি বয়কট করা উচিত নয় বলেই মত পরিচালকের।
রাজনীতি, ধর্মের মতো বিষয় টেনে না এনে সিনেমাটাকে সিনেমার মতো করেই দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রায় ২০০ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হয়েছে সম্রাট পৃথ্বীরাজ। অথচ বক্স অফিসে ছবিটি তুলতে পেরেছে ৮০ কোটির কাছাকাছি। বিশাল মাপে তৈরি করা হয়েছিল ছবিটি। কিন্তু দর্শকরা দেখলেনই না। সমস্যাটা কোথায় হল সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিচালক।
সম্রাট পৃথ্বীরাজ মুক্তির আগে একাধিক বিতর্কের সম্মুখীনও হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম নায়ক নায়িকার মধ্যে বয়সের পার্থক্য। সম্রাট পৃথ্বীরাজ অর্থাৎ অক্ষয় কুমারের তুলনায় তাঁর স্ত্রী সংযুক্তার চরিত্রাভিনেত্রী মনুষী ছিল্লর ৩০ বছরের ছোট।
যদিও এই বিতর্ক নিয়েও নিজস্ব মতামত দিয়েছেন পরিচালক। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় টেলিভিশন শো গুলিতে কখনোই অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি মেলেনি। যারা কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারা সকলেই ফর্সা ছিলেন। অথচ শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন শ্যামবর্ণ। আকবরের সঙ্গেও চরিত্রাভিনেতার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য মেলেনি। কিন্তু এর জন্য কোনো ছবির উপরে ক্ষোভ দেখানো উচিত নয়।