বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আড়াই মাস ধরে সংবাদের শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল নেতা (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়ি গিয়ে উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)।
এবার শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৭ জনকে নোটিশ দিয়ে তলব করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। রবিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের বাড়ি যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা। তবে সেখানে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁরা। অনুগামীদের দিয়ে ইডি আধিকারিকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ সংস্কারের নামে ৩৭ লক্ষের গরমিল! শৌচাগার দুর্নীতিতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ মেয়রের!
ইতিমধ্যেই এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এটুকুই নয়, গতকাল ইডি পেটানোর মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার পর ৫৫ দিন ফেরার ছিলেন শাহজাহান। নানান জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দাদাকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করেছিলেন আলমগীর।
এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল শাহজাহানের ভাইকে। তবে সেদিন সিবিআই দফতরে উপস্থিত হননি তিনি। এরপর ফের নোটিশ পাঠানো হয় তাঁকে। সেই নোটিশে সাড়া দেন আলমগীর, শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেননি তিনি। টানা ৯ ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আজ বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় আলমগীরকে। উল্লেখ্য, ইডি পেটানোর ঘটনায় এদিন মোট ১৫জনকে ডেকে পাঠানো হয়। এবার সিবিআইয়ের নজরে আরও সাত। শনিবার তাঁদের নোটিশ দিয়ে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।