বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে রাজ্যজুড়ে ভোটের আবহ। সোমবার বাংলায় চতুর্থ দফার নির্বাচন রয়েছে। তার আগে রবিবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এক তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন মহিলারা। স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সামনেই ঘটেছে এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্দেশখালি গ্রামের একটি বাড়িতে ছিলেন সুকুমার এবং দিলীপ। খবর পাওয়ার পর সেখানে হাজির হন বিজেপির (BJP) মহিলা কর্মীরা। এরপর তাতান গায়েন নামের এক স্থানীয় নেতাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এনে বেদম মারতে শুরু করেন। মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করা হয় বলে খবর। বিজেপির মহিলা কর্মীদের (BJP Women Worker) অভিযোগ, অন্যায়ভাবে ভিডিও বানানো হচ্ছে।
এদিন স্থানা থেকে খানিক দূরেই তৃণমূল (TMC) নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় হাজির হয় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নামাতে হয় র্যাফ। এদিকে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে একজন মহিলা বলেন, ‘আমদের নামে ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে, সেই কারণে আমরা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি। বলা হচ্ছে, আমরা টাকা খেয়েছি। আমাদের নাকি টাকা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পথে নামিয়েছেন। কে টাকা দিয়েছে তাঁকে নিয়ে আসুক। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে’।
আরও পড়ুনঃ শত ভীড়ের মাঝেও চোখে পড়ল মায়ের ছবি! চেয়েও নিলেন নিজেই! চুঁচুড়ার সভায় আবেগে ভাসলেন মোদী
স্থানীয় মহিলাদের দাবি, দিলীপ বিডিও-কে মারধর করে তাড়িয়েছেন। এবার আমজনতাকে বাড়িছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। এদিন বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘ভিডিও রেকর্ড করে ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবে। আমরা চাই দিলীপ সবার সামনে যাক, মা-বোনেদের সামনে আসুক’।
এদিকে তাতান নামের যে নেতাকে মারধর ধরা হয়েছে তাঁর দাবি, বিজেপির কর্মী, গেরুয়া শিবির আশ্রিত লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। দিলীপের সঙ্গে ঘুরতেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করতেন বলেই আজ তাঁর ওপর আক্রমণ হল বলে দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি আমায় বোঝাতে চাইছেন, যে ঘটনা ঘটেছে, কার প্ররোচনায় হয়েছে সেটা আমরা জানি না। তবে কারোর না কারোর প্ররোচনা তো রয়েছেই। আজ রেখা পাত্রের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও হয়েছিল। উস্কানির কারণে এখানে এসে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এটা কি কোনও রাজনৈতিক শিষ্টাচার? সোজাসুজি গঙ্গাধরের থেকে জানতে চান না, ভিডিওটা সত্যি নাকি ভুয়ো’।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘যারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছিল, এবার তাঁদের হাত থেকে আইন বেরিয়ে গিয়েছে। ১২ বছর কোনও আইন ছিল না ওখানে। এতদিন অবধি তৃণমূল যেমন ইচ্ছা মারত, ধরত। আমাদের তিনজন ছেলেকে একদিনে গুলি করে মেরেছিল, এখনও একটা দেহ মেলেনি। সেই জন্য আজকের এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলা যায় না’।