বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন তিনি একাধিক ফোন করেছিলেন। সন্দীপের (Sandip Ghosh) পাশাপাশি টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও একাধিকজনকে ফোন করেছিলেন বলে খবর! সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপের (Sandip Ghosh) কল লিস্ট!
রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই সন্দীপের কল লিস্ট এসেছে। সেই লিস্ট খতিয়ে দেখেই এই বিষয়ে জানা গিয়েছে বলে খবর। এদিকে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) যেদিন মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেদিন হাসপাতাল থেকে নির্যাতিতার মা-বাবাকে অন্তত বার তিনেক ফোন করা হয়েছিল। প্রত্যেকবার ভিন্ন ভিন্ন কারণে তাঁদের হাসপাতালে আসতে বলা হয়।
কার নির্দেশ সেই ফোনগুলি করা হয়েছিল, সিবিআই গোয়েন্দারা সেটাও খতিয়ে দেখছেন বলে খবর। এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আগেই দাবি করেছিল, টালা থানায় বসেই এই ঘটনার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। তাতে যুক্ত ছিলেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ।
আরও পড়ুনঃ ‘ভয়ে সবাই জব্দ’! দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে গান ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী, কোন গান শোনালেন?
ধর্ষণ খুনের এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সন্দীপ, অভিজিৎ একাধিক ফোন করেছিলেন! সিবিআই (CBI) সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। ঘটনার দিন কাদের কাদের কাছে ফোন গিয়েছিল, এবার সেই প্রেক্ষিতেই তদন্ত এগোবে বলে জানা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ। এরপর ধর্ষণ খুনের ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং অভিজিৎকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিকে আবার তদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন আরজি করে বেশ কয়েকজন বহিরাগত প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে সন্দীপ অথবা অভিজিৎ ফোন করেছিলেন কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।