মরলে মরব, তবুও কেমো নেব না, ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে চাননি সঞ্জয় দত্ত!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে এমন অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকরা আছেন যারা বাস্তব জীবনে ক্যানসারকে (Cancer) হারিয়েছেন। মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে শুধু জেতেনইনি, দ্বিগুণ মনের জোর নিয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছেন। এমন মানুষদের কথা উঠলে সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) প্রসঙ্গ তো আসবেই। বছর তিনেক আগেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এখন অবশ্য সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন অভিনেতা।

২০২০ সালে ফুসফুসের ক্যানসার ধরা পড়ে সঞ্জয়ের। সে সময়ে ‘শামশেরা’ ছবির শুটিং করছিলেন তিনি। ওই অবস্থাতেও ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন টানা শুটিং করে গিয়েছেন অভিনেতা। দীর্ঘ কয়েক মাস চিকিৎসা চলার পর শেষমেষ ক্যানসার মুক্ত হন সঞ্জয়। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেই কঠিন সময়কার স্মৃতিচারণ করেন তিনি।

xsanjay123 1596905422 jpg pagespeed ic a3emmkwrx0 1596908562

সঞ্জয় জানান, হঠাৎ করেই তাঁর পিঠে ব্যথা শুরু হয় একদিন। চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে গরম জলে সেঁক আর ব্যথার ওষুধ খেয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু একদিন এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হয় সঞ্জয়কে। কিন্তু সেখানে গিয়েও প্রথমে তাঁকে জানানো হয়নি ক্যানসারের কথাটা।

সঞ্জয় জানান, সে সময়ে তিনি মুম্বইতে একাই ছিলেন। তাঁর বর্তমান স্ত্রী নম্রতা দত্ত সন্তানদের নিয়ে ছিলেন দুবাইতে। পরিবারের কেউই তখন পাশে ছিল না অভিনেতার। তাই তাঁকে খবরটা স্পষ্ট ভাবে জানানোও হয়নি। বোন প্রিয়া দত্তের মুখেই প্রথম খারাপ খবরটা শোনেন সঞ্জয়।

প্রথম প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল তাঁর? বলিউডের সঞ্জু বাবা বলেন, এক্ষেত্রে এক মুহূর্তে গোটা জীবনটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সঞ্জয় বলেন, ক্যানসার তাঁর পারিবারিক ইতিহাসেই রয়েছে। তাঁর মা নার্গিস মারা যান প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারে ভুগে। প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মা প্রয়াত হন মস্তিষ্কের ক্যানসারে।

সঞ্জয় বলেন, তিনি যখন প্রথম শোনেন যে মারণ রোগ ছাড়েনি তাঁকেও, তখন প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা করাতে চাননি তিনি। সঞ্জয় বলেছিলেন, মরে গেলে যাবেন, তবুও কেমোথেরাপি নেবেন না। তারপর তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করানো হয়েছিল। মুম্বইতেই হয়েছিল সঞ্জয় দত্তের কেমোথেরাপি।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর