বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহাসপ্তমী শেষ হয়ে মহাষ্টমী পড়ে গিয়েছে। দূর্গাপুজোর (Durgapuja) উন্মাদনা শীর্ষে। শহর সেজে উঠেছে আলোর মেলায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল। সবচেয়ে বড় উৎসবের বাকি দুটি দিন চেটেপুটে উপভোগ করতে ব্যস্ত সকলে। কিন্তু সকলে যখন শহরে পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা, তখন দুজন মানুষ এই আলোয় আলোকিত শহর ছেড়ে দূরে পালাচ্ছেন।
সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় (Sanjukta Chatterjee) এবং সাইনা (Saina Chatterjee) ওরফে ডল। পুজোর আনন্দ আর ছুঁতে পারেনি তাঁদের। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee) চলে গিয়েছেন এক বছরও হয়নি। বাড়িতে এ বছর আর পুজো করেননি সংযুক্তা। বরং প্রয়াত স্বামীর স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে মা মেয়ে মিলে পুজোর সময়েই ছেড়েছেন শহর কলকাতা। পাড়ি জমিয়েছেন কেরলের উদ্দেশে।
গত চার বছর ধরে বাড়িতে দূর্গাপুজো করতেন অভিষেক। চট্টোপাধ্যায় বাড়ি আনন্দে মেতে থাকত ওই কটাদিন। এখন সেখানে বিষাদের ছায়া। এত তাড়াতাড়ি তো চলে যাওয়ার কথা ছিল না অভিষেকের। স্বামীকে ছাড়া পুজোয় আনন্দ করার কথা ভাবতেও পারছিলেন না সংযুক্তা। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, এ বার পুজোয় কলকাতার বাইরেই থাকবেন তিনি আর ডল।
সেইমতো পুজোর শুরুতেই শহরকে পেছনে ফেলে কেরলে উড়ে গেলেন দুজন। সঙ্গে বরাবরের মতো নিয়ে গিয়েছেন প্রয়াত অভিষেকের ছবিও। সফর শুরুর সময় থেকেই মেয়ে সাইনার ছবি শেয়ার করে চলেছেন সংযুক্তা। বিমানবন্দরে হেডফোন কানে দিয়ে মোবাইল ঘাটতে ব্যস্ত বছর দশের সাইনা। দ্বিতীয় ছবিতে বিমানের জানলার পাশে বসে বাইরে মেঘেদের খেলা দেখছে ডল।
ক্যাপশনে ডলের তরফে লেখা, ‘একটা নতুন সকাল, একটা নতুন স্বপ্ন, অসংখ্য সম্ভাবনা! আর হ্যাঁ, সবকিছু সম্ভব। আশা করি সবাই পুজো উপভোগ করছেন। বাবা, মা আর আমি নিজেদের মতো করে আনন্দ করছি। ইতিবাচকতা, ভালবাসা ছড়াতে থাকুন, এটাই আমাদের শক্তি হিসাবে কাজ করে।’
কেরলে পৌঁছে হোটেলের রুম থেকেও একটি ছবি শেয়ার করেছেন সংযুক্তা। বাবার ছবি বুকে চেপে ধরে বিছানার উপরে বসে রয়েছে সাইনা। হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে চেয়ে রয়েছেন দুজনে। দেখে আরো একবার চোখ ভিজেছে অনুরাগীদের। শহর থেকে দূরে পাড়ি দিলেও স্মৃতিরা পিছু ধাওয়া করেছে সংযুক্তার। বাড়ির পুজো, অভিষেকের স্মৃতি ঘুরে ফিরে এসেছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। এসব স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন সংযুক্তা সাইনা।