আঞ্চলিক দল হয়েই নির্বাচনী বন্ড থেকে থেকে তৃণমূলের প্রাপ্তি ১,৩৯৭ কোটি! কে কত দিল? রইল হিসেব

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে বড়সড় জায়গা করে নিয়েছে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। দেশজুড়ে রীতিমতো শোরগোল। রীতিমতো বন্ড মারফত কোন দলের তহবিলে কত টাকা গিয়েছে সম্প্রতি সেই তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই দৌড়ে ফার্স্ট হয়েছে দেশের শাসকদল বিজেপি। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬০৬০ কোটি টাকার বিপুল পেয়েছে গেরুয়া শিবির।

ওদিকে চাঁদা তোলার প্রতিযোগিতায় বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ফলও চমকে দেওয়ার মত। বিজেপির থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও তাদের প্রাপ্তিও বিরাট। তৃণমূলের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ ১,৩৯৭ কোটি টাকা। যা পেছনে ফেলে দিয়েছে জাতীয় দল কংগ্রেসকেও। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৪২১ কোটি পেয়েছে হাত শিবির। সেখানে আঞ্চলিক দল হয়েও তৃণমূলের চাঁদা-প্রাপ্তির অনুপাত মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে অনেকেরই।

সব মিলিয়ে যত বন্ড বিক্রি হয়েছে তার ৪৭.৪৬% গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। ঘাসফুল শিবির পেয়েছে মোট বিক্রিত বন্ডের ১২.৬%। কেবলমাত্র ডিয়ার লটারি সংস্থার কাছ থেকেই তৃণমূলের প্রাপ্তি ৫৪২ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ নির্বাচনী বন্ড ক্রেতা ‘লটারি কিং’ ওরফে সান্তিয়াগো মার্টিনই সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছেন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই দেখা যায়, ‘ফিউচার গেমিং’ নামক একটি সংস্থার কর্ণধার সান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) রাজনৈতিক দলগুলিকে ১৩৬৮ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। আর সেই অনুদানের প্রায় ৪০% গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ঝুলিতে।

bond

আরও পড়ুন :জীবনকৃষ্ণকেও গোল! টানা ৩ দিন তল্লাশির পর ‘নয়া রেকর্ড’ গড়লেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ

ওদিকে কলকাতা ভিত্তিক আভিস ট্রেডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক এক সংস্থা দীর্ঘদিন লসে ডুবে থাকার পরও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৪৫.৫ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। SBI-র প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের প্রাপ্ত চাঁদার পরিসংখ্যান কিছুটা এমন,

‘ফিউচার গেমিং’ : ৫৪২ কোটি

সঞ্জীব গোয়েঙ্কার গ্রুপ: ৪৫৯ কোটি

ধারিওয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড: ৯০ কোটি

কেভেন্টার: ৬৬ কোটি

MKJ এন্টারপ্রাইজেস: ৪৫.৯ কোটি

অ্যাভিস ট্রেডিং: ৪৫.৫ কোটি

IFB অ্যাগ্রো: ৪২ কোটি

চেন্নাই গ্রিন উডস: ৪০ কোটি

PCBL লিমিটেড: ৪০ কোটি

প্রারম্ভ সিকিউরিটিস: ৩৮.৭৫ কোটি

ক্রিসেন্ট পাওয়ার লিমিটেড: ৩৩ কোটি

এখন ভাবার বিষয় হল কেবলমাত্র এক রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেই যদি তৃণমূলের এত প্রাপ্তি হল, তা হলে জাতীয় দলের তকমা থাকলে আনুমানিক কত টাকা তাদের ঝুলিতে যেত!

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর