বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাসপাতালে ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তাঁর সঙ্গে রাত জাগছেন সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। এদিকে অভিনেত্রীর সম্পর্কে আশাজনক কোনো খবরের অপেক্ষায়, প্রার্থনায় রাত জাগছেন অসংখ্য শুভাকাঙ্খীরাও। সাত দিন হল হাসপাতালে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। বেরিয়ে এসেছেন ভেন্টিলেশন থেকে। এবার হাসপাতাল থেকেই ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের আপডেট দিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস (Saurav Das)।
সব্যসাচীর সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিনিও রয়েছেন হাসপাতালে, ঐন্দ্রিলার পাশে। প্রত্যেক রাতে সব্যসাচীর সঙ্গে থাকেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমকে সৌরভ জানান, অভিনেত্রীর বাবা, মা এবং দিদি প্রত্যেকদিন দু বেলা হাসপাতালে আসছেন। ঐন্দ্রিলার বাবা এবং দিদি দুজনেই চিকিৎসক। তাই তাঁরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন সবসময়।
সৌরভ স্পষ্টই বলেন, ঐন্দ্রিলার অবস্থার অবনতি ঘটেনি। ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তাঁরা সবসময়ই ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই রয়েছেন। প্রত্যেক ঘন্টায় ঘন্টায় গিয়ে দেখে আসছেন। ঐন্দ্রিলার শরীরের বাঁ দিক সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে গিয়েছে, এ খবরও সঠিক নয় বলে জানান সৌরভ। একটু মুভমেন্ট রয়েছে।
ঐন্দ্রিলাকে ‘ফাইটার’ তকমা দিয়ে সৌরভ বলেন, ও আগেও জিতেছে আর এবারেও জিতবে। ঐন্দ্রিলার পরিবার লড়ছে, গোটা হাসপাতাল লড়াই করছে। ও ভাল হয়ে উঠবেই, এর কোনো অন্যথা হবে না। দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে বলেন অভিনেতা। ঐন্দ্রিলার সমস্ত অনুরাগীদেরও একটাই প্রার্থনা, ফের বিজয়ীর হাসি নিয়ে ফিরে আসুন তিনি।
এদিন ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের আপডেট দিয়ে সব্যসাচী লেখেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে।’
এরপর তিনি আরো লিখেছেন, ‘ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’ পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার ব্যাপারে যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তাদেরকেও তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন সব্যসাচী।