বাংলা হাট ডেস্কঃ রাজ্যপাল ও মমতা সরকারের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। এর আগেও একাধিকবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যার জেরে বেশ কয়েকবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকেও। কখনও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও বা মহুয়া মৈত্র সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন ধনকরের। আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। কারণ যদিও সে ভাবে স্পষ্ট নয়। অনেকে বলছেন, রাজ্যপাল যেভাবে কাজ করছেন তা নিয়ে খুশি নয় কেন্দ্র। তারা আরও কড়া পদক্ষেপ চান। আর সেই কারণেই বদল হতে পারে রাজ্যপাল। ইতিমধ্যে নামও উঠে এসেছে আসিফ মহম্মদ খানের।
আবার অনেকে বলছেন ব্যাপার মোটেই তা নয়, রাজ্যপালই গিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে। এমনকি মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। নালিশ জানাবেন বাংলার আইনি পরিস্থিতি নিয়ে। অন্যদিকে, এও জল্পনা রয়েছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। এরই মাঝে ফের একবার তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার হলেন রাজ্যপাল।
এবার তার দিকে কটাক্ষের তীর ছুঁড়লেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি সায়নী ঘোষ। যদিও রাজ্যপালের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। কিন্তু এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, “গুলকিট নিয়ে জামাই নিরাপদে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন।” টুইটের উদ্দেশ্য যে রাজ্যপাল তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই টুলকিট নিয়ে যথেষ্ট সরব হয়েছিল ভারতীয় রাজনীতি। এবার তারই অনুকরণ করে সায়নী লিখলেন “গুল কিট” কথাটি। নিজের এই শব্দের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সায়নী। তিনি লেখেন, এটি একটি বাংলা শব্দ যার অর্থ হলো “মিথ্যার ঝুড়ি” অর্থাৎ “প্রতি হিংসা চরিতার্থ করতে বা অশান্তি তৈরি করতে এই মিথ্যার ঝুড়ি ব্যবহৃত হয়।”
এমনিতেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যথেষ্ট সরব ছিলেন রাজ্যপাল। আর তাই এভাবেই নাম না করে এদিন তাকে এক হাত নিলেন সায়নী। জামাইষষ্ঠীর দিন তার এই টুইটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনেকেই। যদিও আগামী দিনে কোন নতুন সমীকরণ তৈরি করবে এই টুইট তা এখনও অজানা।