বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো চক্রে ভরে গিয়েছে গোটা বাংলা। কখনও শহরতলি থেকে চিহ্নিত করা হচ্ছে ভুয়ো আইএএস, তো আবার কখনও ভুয়ো সিবিআই। তো আবার কখনও দেখা যাচ্ছে বিবাহিত মহিলারা নিজেদের ভুয়ো প্রমাণপত্র দেখিয়ে আত্মসাৎ করছে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা। তবে এবার খাস কলকাতা (kolkata) থেকে খোঁজ মিলল স্কলারশিপ (Scholarship) জালিয়াতির।
অভিযোগ উঠেছে, কলকাতার নামি স্কুল থেকে ‘ভুয়ো’ ছাত্রীর নামে তুলে নেওয়া হচ্ছে সরকারি স্কলারশিপের টাকা। স্কলারশিপ দিয়ে দেওয়ার পর নথি ঘেঁটে দেখা হচ্ছে, ওই নামে সংশ্লিষ্ট স্কুলে কোন ছাত্রীই পড়াশুনা করেন না। কিন্তু তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিভাবে নথি যাচাই না করেই, এই সরকারি স্কলারশিপের টাকা দেওয়ার জন্য সম্মতি দিয়ে দিল?
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস, ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এবং তাঁতিয়া হাইস্কুলেও, যেটি কিনা শুধুমাত্র ছাত্রদের স্কুল। সেখানেও ছাত্রীদের নাম করে সরকারি স্কলারশিপের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস স্কুলের সালেহা বিবি নামে এক ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের ১৪,৬০০ টাকা চলে যাওয়ার পর, জানতে পারা যায় ওই স্কুলে এই নামে কোন ছাত্রীই নেই। এবিষয়ে স্কুলের সেক্রেটারি সুপ্রিয় ধর জানিয়েছেন, ‘নথিপত্র দেখেই বলছি, এই স্কুলে ওই নামের কোন ছাত্রীই নেই। তবে স্কুলের স্কুলের নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর তো আর গোপন নয়, সেটা যে কেউই ব্যবহার করতে পারে। তবে এই টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই পাঠানো হয়’।
আবার ব্রিজ ইন্টারন্যাশনালে খালেদা খাতুন নামে এক ছাত্রী ১০ হাজার ৮০০ টাকা স্কলারশিপ পেয়েছে, যে ছাত্রীর কোন অস্তিত্বই নেই ওই স্কুলে। এ ব্যাপারে হতবাক হয়ে অধ্যক্ষা রঞ্জনা রায় বলেন, ‘আমাদের স্কুলে খালেদা খাতুন নামে কোনও ছাত্রী নেই। স্কুলের সঙ্গে যাচাই করে কর্তৃপক্ষের স্কলারশিপ পাঠানো উচিত ছিল’।
আবার অন্যদিকে তাঁতিয়া হাইস্কুল, যেটি কিনা ছাত্রদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেখানেও ভুয়ো ছাত্রীদের নাম করে স্কলারশিপের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, খুশিলা সিং এবং জিতনি রায় নামে ওই স্কুলের দুই ছাত্রী ১২ হাজার ৬০০ টাকা করে এবং করুণা সিং ও শকুন্তলা সিং নামে দুই ছাত্রী ১৪ হাজার ৬০০ টাকা করে স্কলারশিপ পেয়েছেন।
সিনিয়র নেতাদের তুমুল ঝগড়া! মাথা ব্যথাই নেই মমতা-অভিষেকের, নেপথ্যের কারণ জানেন?