বাংলা হান্ট ডেস্কঃ BJP নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) ট্যুইটার থেকে BJP’র নাম সরানো নয়ে মধ্য প্রদেশের রাজনৈতিক উথালপাথল শুরু হয়। আজ সকালে সিন্ধিয়ার ট্যুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়। যদিও সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পর এখনো পর্যন্ত ট্যুইটারে বিজেপির নাম উল্লেখ করেন নি।
কিন্তু ওনার ট্যুইটার হ্যান্ডেলের স্ক্রিনশট নিয়ে আজ সকালে চারিদিকে খবর ছড়ায় যে, উনি নিজের ট্যুইটার থেকে বিজেপির নাম সরিয়ে দিয়েছেন। আর এই খবরের পর সিন্ধিয়া নিজে থেকে সামনে এসে খবরের সত্যতা নিয়ে ট্যুইট করেন। সিন্ধিয়া নিজের ট্যুইটে এই খবরকে মিথ্যে এবং গুজব বলে আখ্যা দেন। এর সাথে সাথে তিনি বলেন, সত্যের থেকে বেশি মিথ্যে খবর তাড়াতাড়ি ছড়ায়।
Sadly, false news travels faster than the truth.
— Jyotiraditya M. Scindia (@JM_Scindia) June 6, 2020
১৮ বছর পর্যন্ত কংগ্রেসের সাথে থাকার পর সিন্ধিয়া হোলির দিন বিজেপির হাত ধরেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ওনার সমর্থকদের শিবরাজ এর মন্ত্রী মণ্ডলে শামিল করা আর ওনাকে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বানানোর জোর চর্চা চলছিল। কিন্তু এখন খবর আসছে যে, ওনার সমর্থক প্রাক্তন বিধায়কদের টিকিট পাওয়া কঠিন হতে চলেছে।
শিবরাজ সিং ক্যাবিনেট নিয়ে অনেকার সম্ভাবিত ভাবে বিধিবহির্ভূত ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্য সংগঠনের সাথে মুখ্যমন্ত্রী সম্ভাবিত মন্ত্রীদের লিস্ট তৈরি করেছিলেন। আর সেই তালিকা মিডিয়াতে লিক হয়ে গেছিল। কিন্তু তখনও ক্যাবিনেট এর বিস্তার হয়েছিল না। মোদী ক্যাবিনেটে সিন্ধিয়াকে যুক্ত করার চর্চা এখন কম শোনা যায়। যদিও ওনার বিজেপিতে যোগ নিয়ে ওনার সমর্থকরা বেশ ভালই মাতামাতি করেছিল।
বিজেপি উপ নির্বাচনে সিন্ধিয়ার ২২ সমর্থককে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেক আসনে দলের পুরনো নেতাদের বিক্ষুব্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আবার কিছু আসনে সিন্ধিয়া সমর্থক বিধায়কদের জয় নিয়েও সংশয় দেখা যাচ্ছে।
যদিও এখনো সিন্ধিয়া এবং ওনার সমর্থকদের তরফ থেকে এখনো কোন অসন্তোষ এর খবর সামনে আসেনি। আরেকদিকে ট্যুইটার থেকে বিজেপি লেখা সরিয়ে ফেলা সিন্ধিয়ার রাজনৈতিক রণনীতির অংশ বলে ধরা হচ্ছে। তিনি মুখে কিছু না বলেই, বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন বলে মত। উনি কংগ্রেস ছাড়ার আগেও এমন ভাবেই নিজের প্রোফাইল থেকে কংগ্রেস লেখা সরিয়ে দিয়েছিলেন।