‘বাবা কষ্ট করছে, আর ছেলে শহরে এসে অপদার্থ তৈরি হয়েছে’, যাদবপুর কাণ্ডে বিস্ফোরক রূপা গাঙ্গুলি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ঘটনার ঘনঘটা। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের হাওয়া। ছাত্রমৃত্যুর রহস্যে রঙ লেগেছে রাজনীতিরও। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ আর একটার পর একটা ধরপাকড়ে দুশ্চিন্তগ্রস্ত হয়ে আছে যাদবপুরের বাকি পড়ুয়ারাও। র‍্যাগিং নিয়ে সরব হয়েছেন টলিপাড়ার একাংশও।

রাজ্যের মানুষ তো বটেই পাশাপাশি ঘটনাটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতা কৌশিক সেন এবং চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, উষসী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র এবং ঋদ্ধি সেনও। আর এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বিজেপি নেত্রী ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। কী বলছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী?

এইদিন রুপা গাঙ্গুলির মুখেও শোনা গেল ক্ষোভ। তিনি বলেন, ‘যেদিন থেকে শুনেছি সেদিন থেকে কেবল কেঁদেছি। কিছু বুঝতেই পারছিনা কী বলব! একবার ভাবছি কিছু বলব, একবার ভাবছি ইউনিভার্সিটির সামনে চলে যাই, চলে যাই থানাতে। তারপর ভাবলাম, লোকে তো এটাকে একটা পলিটিকস ভাববে। আর চলে গিয়েও আমি তো বাচ্চাটাকে ফেরাতে পারবোনা।’

আরও পড়ুন : মণ্ডপ থেকে বিয়ের পোশাক, তৈরি সবকিছুই! ফাঁস হল পরিণীতি-রাঘবের বিয়ের দিনক্ষণ

অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, ‘রোজ একটা করে ঘটনা ঘটবে তারপর সেটা নিয়ে আন্দোলন চলবে হ্যানাত্যানা। ইটস বিকামিং নেভার এন্ডইং। এভাবে চলতে পারেনা। এভাবে কতদিন চলতে পারে? একটা ইউনিভার্সিটি যার পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তোমরা কত মদ গাঁজা খেয়ে ওখানে সময় নষ্ট করবে? আর যারা খেতে চায়না তাদেরকে কেন জোর করছ তোমরা?’

আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে জি বাংলা থেকে হঠাৎ উধাও, এখন কোথায় ইন্দ্রানী? মুখ খুললেন ‘শ্রীময়ী’

jadavpur

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। অভিনেত্রী এইদিন আরও বলেন, ‘আজকে টিভিতে যতবার দেখছিলাম ঐ ছেলেটিকে, যে ছেলেটি অলরেডি অ্যারেস্টেড। তার নিজের চেহারা, সে তো এমএসসি করেছে। তার চেহারা, তার স্মার্টনেস আর তার মা যখন কথা বলছে, যে না আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার চেহারার হাল দেখেছেন?’ অভিনেত্রীর কথায়, বৃদ্ধ বাবা মায়ের কষ্টের ফলাফল এরকম একটা অপদার্থ ছেলে তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘মা তার গ্রামের বাড়িতে বসে এরকম হাহুতাশ করছে। আর সেই ছেলে শহরে এসে পড়াশোনা শিখে সাপের পাঁচ পা দেখেছে।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর