বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমেরিকা (America) ও চিনের (China) টানাপোড়েনের কারণে বড় সুবিধা পেয়ে গিয়েছে ভারত (India)। সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুরকারী আমেরিকান কোম্পানি (American Company) মাইক্রোন টেকনোলজি (Micron Technology), ভারতে একটি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ফের মেক ইন্ডিয়ার জয়ধ্বনি। এবার ভারতে আসতে চলেছে বিশ্বের তাবড় কোম্পানি। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, গুজরাট সরকার প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করায় মাইক্রোনের ইন্ডিয়া প্ল্যান্ট তার সেমিকন্ডাক্টর কারখানার জন্য আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।
প্রথম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ চিপ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ তৈরি হবে। গুজরাটের সানন্দে। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিমের (DLE) অধীনে পাঁচটি ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি টেলিকম, বিম গঠন এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগের জন্য কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন যে ভারতে কারিগরি প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব শুরু করেছে। মোট ৩১০টি কলেজে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের কোর্স শুরু হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন সরকার ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা টেলিকম উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছে।
ভারত এই মুহুর্তে একটি প্রযুক্তি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে। আমেরিকা সহ ১২টি দেশে প্রযুক্তি রপ্তানি করছে। সরকার দেশের ৪জিকে ৯৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে এ নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। টেলিকম সংস্কারের রোলআউটের বিষয়ে, মন্ত্রী বলেন এর জন্য শিল্পপতিদের সঙ্গে পরামর্শ চলছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই এই সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
ভারত সরকার সূত্রে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম বিকাশের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কোম্পানির তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে গুজরাটে প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ চলতি বছরেই শুরু হবে। ফেজ ১-এ, ৫০০০০০ বর্গফুট পরিকল্পিত ক্লিনরুম স্পেস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।