বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে শ্রীরামপুরের (Serampore) প্রার্থীরা। আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ধারা অব্যাহত। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এবং বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের মধ্যে। তবে এবার শুধু বাম প্রার্থীর পাশাপাশি বিজেপির কবীর শঙ্কর বোসকেও একহাত নিলেন কল্যাণ।
লোকসভা ভোটের আবহে শনিবার ডানকুনির চাকুন্দিতে একটি জনসভা করেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী। সেখানে দাঁড়িয়ে দীপ্সিতাকে (Dipsita Dhar) নিশানা করে কল্যাণ বলেন, ‘পদ্মনিধি ধরে ডোমজুড়ে কী উন্নয়ন করেছিলেন। কিছু করেনন। চারিদিকে খুন সন্ত্রাস। সেই সিপিএম ফের আসবে’?
এরপর সরাসরি দীপ্সিতার পড়াশোনা নিয়ে সুর চড়ান কল্যাণ। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘দীপ্সিতা ধর নাকি এত বড় একজন পণ্ডিত যে থিসিস জমা করতে ৯ বছর সময় লাগছে? আমিও লেখাপড়া করেছি। হাই কোর্টে কাজ করেছি। বিয়ে করে সংসার করেছি। বাম প্রার্থী নিজেকে উচ্চশিক্ষিত দাবি করছেন। উনি তো এখনও কিছুই করতে পারেননি’।
আরও পড়ুনঃ জোর বিপাকে অভিষেক! তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে CBI-তে অভিযোগ, ভোটের মাঝেই তোলপাড়
দীপ্সিতাকে নিশানা করার পর প্রাক্তন জামাতা তথা বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসকে (Kabir Shankar Bose) নিয়ে সরব হন কল্যাণ। শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে বিজেপি প্রার্থীর কী ভূমিকা রয়েছে? তিনি কেন বারবার শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হন? শ্রীরামপুর চিনেছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। প্রাক্তন শ্বশুরমশাইয়ের পরিচয়েই উনি প্রার্থী হচ্ছেন। ওনার পরিচয় কেউ জানেন না’।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেই দীপ্সিতা এবং কবীর শঙ্করকে নিশানা করেছেন কল্যাণ। বাম প্রার্থী সম্বন্ধে বলেছিলেন, ‘প্রথম থেকেই দীপ্সিতা ভীষণ নোংরা নোংরা কথাবার্তা বলছে। ও খুব ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হতে পারে, তবে মানসিকতা ভীষণ খারাপ’।
অন্যদিকে পদ্ম প্রার্থী কবীর শঙ্কর সম্বন্ধে কল্যাণ বলেছিলেন, ‘তাঁকে আমি জ্যান্ত রাখব না। যদি আমার পোলিং এজেন্টের গায়ে হাত পড়ে, তাহলে আমি তাঁকে ছেড়ে কথা বলব না’। উল্লেখ্য, আগামী ২০ মে নির্বাচন রয়েছে শ্রীরামপুর। কল্যাণ, দীপ্সিতা এবং কবীর শঙ্করের ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ অবধি কে বাজিমাত করল জানা যাবে আগামী জুন মাসে।