এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল Oppo-Vivo-Xiaomi-র বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল কেন্দ্র

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, চিনা স্মার্টফোন কোম্পানি Oppo Mobile, Vivo India এবং Xiaomi Technology প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সংসদে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই কর ফাঁকির মধ্যে কাস্টম ডিউটি এবং GST অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, উল্লিখিত কোম্পানিগুলি বিগত তিনটি অর্থবর্ষে এই বিপুল কর ফাঁকি দিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, এই সংস্থাগুলি প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। যার মধ্যে সরকারের তরফে ১,৬২৯.৮৭ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এদিকে, Oppo ৫,০৮৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। যার মধ্যে ৪,৪০৩ কোটি টাকার কাস্টম ডিউটি এবং ৬৮৩ কোটি টাকার GST অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পাশাপাশি Vivo ২.২২৩.২৫ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। যার মধ্যে ২,৮৭৫ কোটি টাকার কাস্টম ডিউটি এবং ৪৮.২৫ কোটি টাকার GST অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা Xiaomi-র ক্ষেত্রে ৮৫১.১৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে। যার মধ্যে ৬৮২.৫১ কোটি টাকার কাস্টম ডিউটি এবং ১৬৮.৬৩ কোটি টাকার GST অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতে Xiaomi-র ব্যবসার জন্য ক্রমশ অসুবিধা বাড়ছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যেই বাজারে শেয়ার হারানোর পাশাপাশি একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায়, Xiaomi দেশে তার ইউনিট রিস্ট্রাকচারিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই কারণে সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, Xiaomi-র চলতি বছরের শুরুতে দেশে প্রায় ১,৫০০ কর্মী ছিল। তবে, কোম্পানিটি সম্প্রতি প্রায় ৩০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এমনকি, শীঘ্রই আবার ছাঁটাই হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

মূলত, বিগত কয়েক মাসে কোম্পানিটির মার্কেট শেয়ার কমেছে। এই কারণে, কোম্পানির তরফে রিসোর্সের আরও ভালো ব্যবহার করা থেকে শুরু করে খরচ কমানোর মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মূলত, Samsung-এর মতো কোম্পানিগুলির কাছ থেকে জোর টক্কর পাচ্ছে এই সংস্থা।

Serious complaints against Oppo-Vivo-Xiaomi

এদিকে, জানিয়ে রাখি যে, চিনা মোবাইল কোম্পানিগুলির জন্য ইতিমধ্যেই নতুন নিয়ম তৈরি করেছে সরকার। ওই সংস্থাগুলিকে দেশে তাদের ব্যবসায় ভারতীয় ইক্যুইটি অংশীদারদের জড়িত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, এই সংস্থাগুলিকে চিফ একজিকিউটিভ অফিসার, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এবং চিফ টেকনিক্যাল অফিসারের মতো সিনিয়র পদে ভারতীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ করার বিষয়েও জানানো হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর