বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের ভূখণ্ড দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে চীন। তাই চীনের উপরেও পাল্টা চাপ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের প্রথম বড় প্ল্যানিং হচ্ছে, এই বছরেই চিন সীমান্ত এলাকা সিকিমকে রেলপথে জুড়ে ফেলা। কাজটি অবশ্য আগে করার কথা বহুবার উঠলেও করোনাভাইরাস, শ্রমিক সমস্যা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য কাজ বারবার ব্যাহত হয়েছে।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রেল নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার কার্যনির্বাহী বাস্তুকার মাহিন্দার সিং বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করব।’ তবে আগামী ২০২৪ সালেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেটা শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান রেলের অফিসাররা। এদিকে, প্যাংগং থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশের বহু এলাকাকেই আগেও চীন নিজেদের বলে দাবি করেছে।
আরোও পড়ুন : বদলে গেল ২০২৫ এর মাধ্যমিক রুটিন, কবে থেকে শুরু? বড় ঘোষণা পর্ষদের
তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার নজির রয়েছে একাধিকবার। সেইকারণেই, সেবক–রংপো রেল প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আনা হবে।এই সেবক–রংপো রেলপথে মাধ্যমে একদিকে যেমন সিকিমবাসীর সুবিধা হবে , ঠিক তেমনভাবেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এটাই হয়ে উঠবে অন্যতম ‘লাইফ লাইন’। এই প্রকল্পে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরোও পড়ুন : ‘সন্দেশখালি থেকে লুটের মাল কলকাতায় ওনার বাড়িতে পাঠায় শাহজাহান’, বিস্ফোরণ ঘটালেন শুভেন্দু
এছাড়া, সেবক রংপো রুটের পাশাপাশি রংপো থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে নাথু লা পর্যন্ত লাইন পাতার জন্য আরও দু’টি সমীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফে। যদিও সেগুলোর কাজ কবে শেষ হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। রেল সূত্রে খবর, সিকিম থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য যে একটিই রাস্তা অর্থাৎ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক আছে, সেটি বন্ধ হয়ে যায় নানা সময়ে।
তাই সেনাবাহিনীর সুবিধার্থে এই রেলপথ তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত প্রকল্পের খোঁজ নিচ্ছি। যাতে দ্রুত কাজ শেষ করে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চালু করা যায়।’ এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় নজরদারি বাড়িয়ে নিয়মিত রিপোর্ট নিচ্ছে রেল। তাহলে কি চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে? সময় উত্তর দেবে।