প্রেমিকা রিয়া দে ও তার মাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার প্রেমিক শেখ সাদ্দাম হোসেন ও তার সাথী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রেমের (Love) সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হল প্রেমিকা রিয়া দে ও তার মাকে। মৃত্যুর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী পুলিশ। মৃতেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের (New Barrackpore) বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

WhatsApp Image 2020 02 24 at 9.04.14 AM 1

১৮ ই ফেব্রুয়ারী বিকালে শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার (Haldia) রূপনারায়ণের তীরে ঝিকুরখালিতে দুজনকে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। দূর্গাচক থানায় (Durgachak Police Station) খবর দিলে পুলিশ এসে জল দিয়ে আগুন নেভায়। অগ্নিদগ্ধ দুজন ব্যক্তি মহিলা বলে দেখা যায়। তাঁদের শরীররে বেশ কিছুটা অংশই পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে ফরেনসিক টিম। দেহ দু’টির ময়নাতদন্তের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) পাঠানো হয়। পুলিশ আশপাশটা ভালো করে খুঁজে দেখে। এবং সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়।

মৃত দুজনের পরিচয় জানতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। তাঁরা স্যোশাল মডিয়ার এবং সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নেয়। তদন্ত করে জানা যায়, মৃত দুজনেই নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা এবং তাঁরা সম্পর্কে মা এবং মেয়ে। হলদিয়ার এক যুবক সাদ্দামের সঙ্গে মেয়ে রিয়ার প্রেমের সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। তবে সঠিক কি কারণে এই ভয়ঙ্কর পরিণত হল তা এখনও জানা যায়নি।

তদন্তে নেমে অতি কষ্টে পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার রাতে সাদ্দাম হোসেন ও মঞ্জুর আলম মল্লিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার দু’জনকেই হলদিয়া মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে দেয় এবং ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (Indira Mukherjee) এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “কোনও প্রেমঘটিত কারণেই সম্ভবত এই খুনের ঘটনা। ওঁদের দু’জনকে জ্যান্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি’।

 

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর