বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জনসংখ্যার নিরিখে ভারত (India) বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। রাষ্ট্রসংঘ (UN) অনুসারে ২০২৪ এর ১০ নভেম্বরের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা ১,৪৫৫,৫৯১,০৯৫-এ পৌঁছাবে। বিগত কয়েক দশকে ভারতীয়দের পরিবার পরিকল্পনায় এসেছে বিপুল পরিবর্তন। যার ফলে কমেছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। দক্ষিণের রাজ্য এবং বেশ কয়েকটা ছোট রাজ্যের প্রজনন হার অনেকটাই কমেছে।
ভারতে (India) দ্রুত কমছে প্রজনন হার!
জানা যাচ্ছে, ভারতের (India) তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে জন্মহার ১.৪। যেখানে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে প্রজনন হার যথাক্রমে ৩, ২.৭ এবং ২.৬। ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলেও ক্রমশ কমছে এই দেশের প্রজনন হার। যা আগামাদিনে ভারতীয়দের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে ভারতের (India) প্রজনন হার এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে তা নেমে দাঁড়াবে ১.৩-এ। যার ফলে,২০৫৪ সালে দেশের জনসংখ্যা পৌঁছে যাবে ১.৬৯ বিলিয়নে আর ২১০০ সালের মধ্যে নেমে আসবে মাত্র ১.৫ বিলিয়নে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে তাকালে এখন দেশের প্রজনন হার বৃদ্ধি করাটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন হয়ে উঠতে চলেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত থেকে শুরু করে ডিএমকে নেতা স্টালিন এবং চন্দ্রবাবু নাইডু ধারাবাহিকভাবে মানুষকে তিনটির বেশি সন্তান নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কারণ এইভাবে প্রজনন হার কমতে থাকলে ভবিষ্যতে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা তরুণদের তুলনায় বেশি হবে।
এর ফলে প্রশ্নের মুখে পড়বে দেশের ভবিষ্যৎ। কারণ তরুণরাই দেশের প্রাণশক্তি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তরুণ সম্প্রদায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রজনন হার কমতে থাকলে কমে যাবে দেশের শ্রমশক্তি। যার প্রভাব পড়বে গোটা দেশের জন্যই বয়ে আনবে কুফল।
আসুন এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে পাঁচটি সম্ভাব্য কারণে দেশের প্রজনন হার কমতে শুরু করেছে।
মুদ্রাস্ফীতি
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, রোজকার জীবনের খরচ। সেই সাথে চাকরি জীবনে অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেকের জীবনেই বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্দু-মুসলমান সংঘর্ষ হচ্ছে না! বাংলাদেশ ইস্যুতে উল্টো সুর কংগ্রেস নেতা অধীরের
নারীদের অগ্রাধিকার পরিবর্তন
আগে একটা সময় ছিল যখন নারীরা শুধুমাত্র বাড়ি আর সংসার জগতেই আবদ্ধ ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মেয়েরা এখন অর্থনৈতিকভাবেও ব্যাপক সফল। তাই এক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সবাই বিয়ে কিংবা সন্তান ধারণের তুলনায় চাকরি জীবনকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
দেরিতে বিয়ে
এখন আর কেউ তাড়াতাড়ি বিয়ে করে না। যার ফলে পরিবার পরিকল্পনাও বিলম্বিত হচ্ছে। তাছাড়া ক্রমবর্ধমান নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির প্রবণতার কারণেও অনেকেই সন্তান ধরণের চিন্তায় এড়িয়ে চলছেন।
বান্ধ্যত্ব
লাইফস্টাইল মানসিক চাপ এবং পরিবেশগত কারণে বান্ধ্যত্বের সমস্যাও এখন ক্রমাগত বাড়ছে।