মমতা ব্যানার্জীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়র ও মন্ত্রী পদ খুইয়েছেন তিনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার রাজনৈতিক ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুর্গা পুজোর আগেই একদা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর নয়নের মণি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লীর অফিসে বরণ করে নেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির নেতা মুকুল রায়। শোনা যাচ্ছে, ওই সময়ে তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদও বিজেপিতে যোগ দেবেন।
হঠাৎ শোভন বিজেপিতে কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বিজেপি ঝড় থাকলেও কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় একেবারে খালি হাতে আসতে হয়েছে বিজেপিকে। একসময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ওই জেলায় সংখ্যালঘু ভোটে ওনার প্রভাব অনেক। আর তারসাথে সামনেই আছে পুরোভোট। কলকাতা পশ্চিমের ওয়ার্ড এবং বেহালায় বেশ লোকবল রয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এর। আর এই পরিসংখ্যান গুলোকে মাথায় রেখে এবার মাঠে নামছে বিজেপি। এমনকি এবার পুরোভোটে লালবাড়ি দখলের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি, আর এমত অবস্থায় শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপির সবথেকে বড় হাতিয়ার হতে পারে।
লোকসভা ভোটে ভরা ডুবির পর তৃণমূলের পুরনো নেতা কর্মীদের দলে ফিরিয়ে আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর এবার ডাক পড়তে পারে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এরও। কিন্তু সুত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলে ফিরতে নারাজ দিদির মণি শোভন চট্টোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করতে চাইছেন তিনি।