বেঁচে থাকত শ্রদ্ধা, যদি মেনে নিত এই কথা! আফতাবের নৃশংসতা শুনে মুখ খুললেন তরুণীর বাবা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শ্রদ্ধা বিকাশ ওয়াকার হত্যাকাণ্ড সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্যও সামনে এসেছে। এদিকে শ্রদ্ধার বাবা এমন কিছু কথা বলেছেন, যা শুনলে যে কারও চোখ জলে ভরে যাবে। সম্প্রতি তার বাবা তিন বছর আগের ঘটনার কথাও জানিয়েছেন যখন শ্রদ্ধা তার বাবা-মাকে ভালোবাসার মানুষের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছিল।

এদিকে, শ্রদ্ধা বিকাশ ওয়াকার হত্যা মামলায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এবার এমন একটি বিষয় সামনে এসেছে যা মেনে নিলে আজ হয়তো তিনি বেঁচে থাকতেন। এ কথা তার বাবা নিজে মুখে সম্প্রতি বলেছেন। শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়াকার ব্যাখ্যা করেছেন, “মেয়ের এবং আফতাব আমিন পুনাওয়ালার মধ্যে সম্পর্কের কথা প্রায় 18 মাস পর আমরা জানতে পারি। আমার কন্যা 2019 সালে তার মাকে বলেছিল যে সে লিভ-ইনে রয়েছে। আফতাবের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তার। আমি এবং আমার স্ত্রী এমন লিভইনের বিরোধিতা করি।”

তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্ক ভাঙতে অস্বীকার করে শ্রদ্ধা বলেছিল যে আমি 25 বছর বয়সী এক অ্যাডাল্ট মেয়ে। আমার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি আফতাবের সাথে লিভ-ইন করতে চাই। আমি আজ থেকে তোমাদের মেয়ে নই।” বিকাশ মদনের মতে, শ্রদ্ধা পরবর্তী সময়ে আমার স্ত্রীকে ফোনে বলত যে, আফতাব মাঝে মধ্যেই তাকে মারধর করছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা আমাকেও দু-একবার ফোন করেছিল। তখনও সে আফতাবের বিরুদ্ধে মারধরের কথা বলেছিল। এরপর বাড়িতে আসার পরও সে একই কথা বলে। এতে আমি আফতাবকে ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসতে বলি ওকে। কিন্তু, আফতাবের প্ররোচনায় ও তার সঙ্গে থেকে গেল।”

Shraddha Walkar

প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা বিকাশ ওয়াকার হত্যা মামলায় আফতাবকে গ্রেফতারের পর তিনি পুলিশকে জানান, 18 মে বিয়ে নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। এরপর প্রথমে ফ্ল্যাটের ভেতরে শ্রদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। তারপর করাত দিয়ে তার হাত তিন টুকরো করে। এরপর পাও তিনটি টুকরোও করা হয়। একইভাবে, পুরো শরীর টুকরো টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধার। তারপর, আফতাব শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো গুলো ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন স্থানে। সম্প্রতি, এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে আসার পর হতচকিত হয়ে গেছে গোটা দেশ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর