বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে শ্রমশ্রী প্রকল্প (Shramshree Scheme)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করেছে শ্রমশ্রী প্রকল্প (Shramshree Scheme)। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষিত পরিকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকেরা প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন। আর এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে পোর্টালে নাম তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
শ্রমশ্রী ঘোষণার পর কর্মসাথী পোর্টালে নাম তোলার হিড়িক, কয়েক ঘণ্টায় হাজার হাজার নতুন আবেদন জমা (Shramshree Scheme)
নিয়ম অনুযায়ী কর্মসাথী পোর্টালের নাম থাকলে তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তবে যারা বিগত কয়েক দিনে নদীয়া জেলা জুড়ে প্রায় দেড় হাজার পরিযায়ী শ্রমিক পোর্টালে (Shramshree Scheme) নাম তোলার আবেদন করেছেন। তাদের অধিকাংশ আবেদন এসেছে কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, তেহট্টো, করিমপুর এই সমস্ত এলাকা থেকে।
এই সমস্ত এলাকায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এমনকি ইতিমধ্যে নদীয়া জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৫৭ হাজার পরিচয় শ্রমিকের নাম সরকারি খাতা নতিভুক্ত হয়েছে। এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের সৌমশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসার সুজোগ পাবেন। এই প্রকল্পে ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ আর্থিক সাহায্য করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি ফেরার সময় এককালীন ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে, তাদের হাতে। পাশাপাশি পুরো এক বছরের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা করে এক বছর ধরে ভাতা পাবেন তারা।
আরও পড়ুন: অল্প সময়ে, সামান্য উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ‘সুজির কাটলেট’, জানুন চটপট রেসিপিটি
তবে এই নতুন প্রকল্প শুরু হওয়ার পর, চোখে পড়ার মতন কর্মসাথী পোর্টালে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) নাম নথিভূক্ত হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কর্মসাথী পোর্টালে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের নাম আগের থেকেই ছিল। শ্রমশ্রী প্রকল্প (Shramshree Scheme) ঘোষণা হওয়ার পর আরো অনেক পরিযায়ী শ্রমিক সেই পোর্টালের নাম তোলার জন্য আবেদন করছেন। কারণ কর্ম সাথে পোর্টালের নাম থাকলেই পরিযায়ী শ্রমিকেরা কর্মশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers) ক্ষেত্রে নদীয়া জেলার পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্যে শুধু নয়, বাইরের দেশেও কাজে যান। বহু পরিযায়ী শ্রমিক ওড়িশা, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক সহ বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেন তারা। এমনকি দুবাই, কাতারের মতো বাইরের দেশেও কাজে যান। তবে সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নদীয়া জেলার বহু বাঙালি শ্রমিকরা হেনস্তার কবলে পড়েছিল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের বহু পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে অঘোষিত ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখে মারধর, ম্যারাথন জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁদের। কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, করিমপুর, তেহট্ট, চাপড়া সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এরকম বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।