বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ায় বিয়ের (Marriage) মরশুম। কাউকে আগাম আভাস না দিয়েই চুপিচুপি গাঁটছড়া বেঁধে নিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das) এবং পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar)। ঘরোয়া পরিবেশে কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে সই করলেন দুজনে। তারপর শ্রুতির সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে তাঁকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন স্বর্ণেন্দু। দুজনের হঠাৎ বিয়েই এখন চর্চার হট টপিক টেলিপাড়ায়।
শ্রুতি স্বর্ণেন্দু ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় জুটি। কাজের সূত্রে আলাপ দুজনের। কালক্রমে তা পরিণতি পায় প্রেমের সম্পর্কে। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর এবার সম্পর্কটাকে আইনি স্বীকৃতি দিলেন তাঁরা। এত জনপ্রিয় কাপল হওয়ায় বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি বহুবার হয়েছেন শ্রুতি স্বর্ণেন্দু। কিন্তু কখনোই স্পষ্ট করে নিজেদের পরিকল্পনা উল্লেখ করেননি তাঁরা। অবশেষে আজ এই বিরাট সারপ্রাইজ।
আর পাঁচজন অভিনেতা অভিনেত্রীর মতো ঝাঁ চকচকে আসরে, সানাই বাজিয়ে নয়। কাছের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে ঘরোয়া ভাবেই বিয়ে সারলেন শ্রুতি স্বর্ণেন্দু। বরাবর সমাজের চলতি প্রথা ভাঙার জন্য পরিচিতি পেয়ে এসেছেন শ্রুতি। তাঁদের বিয়ের সাজেও ছিল প্রথা ভাঙার ছোঁয়া। লাল বেনারসীর বদলে সাদা শাড়ি, ব্লাউজ, রূপোর গয়নায় সেজে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী। স্বর্ণেন্দুর পরনেও ছিল সাদা পাজামা পাঞ্জাবি।
সই করে, আংটি বদল করে, কেক কেটে উদযাপন করেছেন তাঁরা। তারপর গোলাপের মালাবদল করে শ্রুতির সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছেন স্বর্ণেন্দু। হঠাৎ করেই এমন সুখবরে হকচকিয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু বিয়ে করেও শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন না শ্রুতি। বরং বিয়েটা সেরেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন দুজনে। কেন? সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, তাঁরা বিয়ের নিয়ম কানুন বিশেষ মানেননি। আশীর্বাদ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দধিমঙ্গল, গায়ে হলুদের মতো অনুষ্ঠান হয়নি। বউভাতও হবে না তাঁর। তাই যে যাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন।
তবে স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে আজই আবারো দেখা হবে শ্রুতির। ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালের শুটিং রয়েছে আজ। তাই কালরাত্রির নিয়মও পালন হবে না বলেই জানান অভিনেত্রী। তবে শ্রুতি বলেন, বিয়ের পর আইনি ভাবে একে অপরের বাড়িতে রাত কাটানোর অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই একসঙ্গে মিনি হানিমুনেও যাবেন শ্রুতি স্বর্ণেন্দু।