বাংলাহান্ট ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের লুকে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসা ইস্তক শুধু মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। অনেকটাই মেকআপের কামাল, আর বাকিটা জিতুর ‘কামাল’ (Jeetu Kamal)। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারপরেই সত্যজিৎ থুড়ি ‘অপরাজিত’ হয়ে উঠেছেন তিনি। আগামী ১৩ মে বড়পর্দায় তাঁর ভাগ্যপরীক্ষা। তার আগে জিতুর আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
গত ২ রা মে ছিল কিংবদন্তি পরিচারকের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে মুম্বইয়ে ‘অপরাজিত’ ছবির স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। তাঁর আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি সত্যজিতের খুব কাছের বন্ধুও ছিলেন।
ছবি এবং ছবিতে জিতুর অভিনয় দেখে মুগ্ধ শ্যাম বেনেগাল। অভিনেতার প্রভূত প্রশংসা করেছেন তিনি। উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, আরো এগিয়ে যাও। অভিনয় ছেড়ো না। আপ্লুত জিতু বলেন, এত প্রশংসা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে পাননি তিনি।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দুমুখো স্বভাব নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সত্যজিৎ রায়ের মতো হয়ে ওঠার জন্য দাঁতের পাটিতে বদল এনেছেন জিতু। তা নিয়েও ‘খিল্লি’ হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। পালটা জিতুর পাশে দাঁড়িয়ে তোপ দেগেছিলেন সুদীপ্তা।
https://www.instagram.com/p/CdGFlTKPdil/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
প্রসঙ্গত, সত্যজিৎ রায়ের অস্কারজয়ী ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্যের কাহিনি উঠে আসবে ‘অপরাজিত’তে। তবে ‘পথের পাঁচালী’ এখানে ‘পথের পদাবলী’ নামে উপস্থাপন করেছেন পরিচালক অনীক দত্ত। পাঁচালী বা পদাবলী যাই বলুন, ছবিটি বানাতে গিয়ে বড় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল সত্যজিৎকে। প্রশ্ন উঠেছিল তখনকার দিনে, চেনা পরিচিত নায়ক নায়িকা নেই, ভাব ভালবাসা নেই। নিদেনপক্ষে অন্তত দু তিনটে গান তো থাকতে পারত। এ কেমন ছবি!
আর্থিক অনটনে পড়েও হাল ছাড়েননি পরিচালক। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী বিজয়া রায়। অনেক লড়াইয়ের পর রচিত হয়েছিল ইতিহাস। সেসব কাহিনির পাশাপাশি পথের পদাবলীর (পথের পাঁচালী) শুটিংয়ের সময় কাশবনে অপু দূর্গার আইকনিক দৃশ্যগুলি, ইন্দির ঠাকরুনের মতো চরিত্রেরও দেখা মিলেছে ট্রেলারে। আগামী ১৩ মে মুক্তি পাবে ‘অপরাজিত’।