বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রনাথ মোদীর (Narendra Modi) হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। সম্পন্ন হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও। ইতিমধ্যেই রামলালার মূর্তির শান্ত এবং স্মিত হাসির মুখ মন জয় করেছে ভক্তদের। পাশাপাশি, রাম মন্দিরের এই পবিত্র রামলালার মূর্তির বিষয়ে একাধিক বিস্ময়কর দাবি করেছেন মূর্তির স্থপতি অরুণ যোগীরাজ।
তবে, শুধু অরুণ যোগীরাজই নন পাশাপাশি অনেকেই বলছেন যে, প্রাণপ্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রামলালার প্রতিমার আভা যেন বদলে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর চোখ দেখে মনে হচ্ছে যেন করুণা ঝরে পড়ছে এবং তিনি যেন কথা বলবেন! এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রামলালার এই মূর্তিটি শ্যাম শিলা থেকে তৈরি করা হয়েছিল। যা কর্ণাটকের এইচডি কোটা থেকে সংগ্রহ করা হয়। এমতাবস্থায়, এই শিলার প্রসঙ্গে একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই পাথর উত্তোলনকারী ঠিকাদারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল সরকার।
মূলত, TV9 এবং আউটলুক ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে একজন ঠিকাদার এক দলিত কৃষকের চাষের জমি থেকে এই পাথরটি বের করেন। জানা গিয়েছে, হারোহল্লি-গুজেগৌদানাপুরার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী কৃষক রামদাস এচ তাঁর ক্ষেতটি সমতল করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ওই ক্ষেতের জমি ছিল খুবই পাথুরে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলার সময়ে রামদাস জানিয়েছিলেন, “আমি আমার চাষের জমি থেকে পাথর সরাতে চেয়েছিলাম। এজন্য শ্রীনিবাস নটরাজ নামের এক ব্যক্তিকে পাথর তোলার চুক্তি দেওয়া হয়।”
এমতাবস্থায়, ১০ ফুট খনন করার পর, নটরাজ একটি বড় পাথর খুঁজে পান। যেটি কালো রঙের ছিল। এটাই ছিল সেই কালো পাথর যা অরুণ যোগীরাজ রামলালার মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহার করেছিলেন। এদিকে, আশেপাশের লোকজন এই পাথরের কথা জানতে পেরে খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগকে খবর দেয়। দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান যে, নটরাজ সেখানে অবৈধ খনন করেছেন। তাই, নটরাজকে জরিমানা করে কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই সময় পর্যন্ত রামলালার মূর্তি তৈরির জন্য এই পাথর বেছে নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: কথামতো মাইলেজ দেয়নি গাড়ি, মারুতির বিরুদ্ধে মামলা মালিকের! মিলল এত টাকা ক্ষতিপূরণ
পরে অরুণ যোগীরাজ রামলালার মূর্তি তৈরির জন্য এই শ্যাম শিলার একটি অংশ বেছে নেন। মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমা যখন এই সম্পর্কে তথ্য পান, তিনি বলেছিলেন যে, বিজেপি পুরো অর্থ নটরাজকে ফেরত দেবে, যা তিনি জরিমানা হিসাবে দিয়েছেন। যে কৃষকের জমি থেকে পাথরটি বের করা হয়েছে তিনি জানিয়েছেন, ওই জায়গায় রাম মন্দির তৈরি হবে। পাশাপাশি, তিনি মূর্তি স্থাপনের জন্য অরুণ যোগীরাজের সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন।
তবে, শ্রীনিবাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সেটি রামলালার মূর্তির পাথর জানার পর তাঁকে জরিমানা করা হয়নি। বরং, এই জরিমানা ছিল অবৈধ খনন সংক্রান্ত। তিনি জানান যে, কর্ণাটক সরকার যে পাথর থেকে রামলালার মূর্তি খোদাই করা হয়েছিল তার ওপর কোনো জরিমানা ধার্য করেনি।