বিপর্যয়ের জেরেই বাঁধল বিপত্তি! উঁচু হয়ে গিয়েছে তিস্তার নদীখাত, ভয় ধরাচ্ছে সেচ দপ্তরের রিপোর্ট

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতিপথ তো বদলেছেই, পাশাপাশি উঁচু হয়ে গিয়েছে তিস্তা নদীর খাত। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জমা দেওয়ার রিপোর্ট তেমন কথাই বলছে।  সিকিমে (Sikkim) দক্ষিণ লোনাক হ্রদ গত অক্টোবর মাসে ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল। তিস্তা নদীর পুরো গতিপথে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বিপর্যয়ের কারণে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছিল বেশ কিছু জায়গায়। সেই ছবি ধরা পড়েছিল উপগ্রহ চিত্রে।

তিস্তা নদীর (Teesta River) গতিপথ কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেই নিয়ে অনেক সমীক্ষা হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত আসেনি বলে খবর। এরই মধ্যে শেষ দপ্তরে জমা পড়েছে আরেকটি রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, উঁচু হয়ে গিয়েছে তিস্তা নদীর গতিপথ। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই উঁচু হয়ে গিয়েছে তিস্তার নদী খাত। প্রায় দেড় মিটার উঁচু হয়েছে বলে খবর। আর এই উচ্চতায় বেশ অনেকটা বলে দাবি করেছে সেচ দপ্তর।

   

আরোও পড়ুন : ১-২ টি নয়, কয়েক মিনিটেই একসঙ্গে প্রাণ গেল ৩৬ ফ্লেমিঙ্গো পাখির!নেপথ্যের কারণ জানলে মায়া লাগবে

 তিস্তা নদী খাত উঁচু হয়ে যাওয়ার কারণে যে সমস্ত এলাকায় বাঁধের উচ্চতা কম সেখানে এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার উত্তরবঙ্গের চর জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জলপাইগুড়ি জেলা থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং শিলিগুড়ি সমতলের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। সেই আলোচনায় তিস্তা ছিল মূল বিষয়। এখনো পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ১০৬ কোটি টাকার কাজ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তিস্তার বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজই প্রধান।

আরোও পড়ুন : চাইছেন টিকিট কাটতে, অথচ পারছেন না! অবাক লাগছে? এই স্টেশন থেকে ফ্রি’তেই হচ্ছে যাত্রা

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিম তথা উত্তরবঙ্গের আধিকারিকেরা এবং কেন্দ্রীয় জল কমিশনের আধিকারিকেরাও দিনের বৈঠকে হাজির হন। সেচ দফতরের উত্তরবঙ্গের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক এদিন বলেন, “তিস্তার নদীখাত উঁচু হয়ে যাওয়া যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এক থেকে দেড় মিটার উঁচু হয়ে যাওয়া বিপজ্জনকও। যেখানে বাঁধের উচ্চতা কম সেখানে বাঁধের উচ্চতা বাড়াতে হবে, কিছু এলাকায় স্পার তৈরি করতে হবে, সে সব কাজ করা হচ্ছে।”

1716263425 ঘিরে চিন্তা

 কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের মুখপাত্র গোপীনাথ রাহা জানান, “এ দিনের বৈঠকে সমন্বয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তিস্তা নিয়ে তথ্য আদানপ্রদান হয়েছে। সিকিমেও তিস্তার বুকে পলি জমেছে। পাহাড়ের গতিতেও নদী খাঁত উঁচু হয়েছে তিস্তার। এটা যথেষ্ট আশঙ্কার।” চলতি মে মাসের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণের সমস্ত কাজ যাতে সেরে ফেলা হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। দেশে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে বৃষ্টি। তার আগে সমস্ত নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ যাতে শেষ হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর