বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভরা বসন্তের মাঝে অকাল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম (Sikkim)। ধ্বস নেমেছে গ্যাংটক (Gangtok) থেকে লাচুং যাওয়ার পথে। দোলের দিন ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন উত্তরবঙ্গ (North Bengal) ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা। উত্তরবঙ্গ সূত্রে খবর, এই বিপর্যয়ের ফলে অসংখ্য মানুষ মাঝপথে আটকে রয়েছেন। পাহাড়ের কোনও রাস্তাই নাকি এখন নিরাপদ নয় বলে জানাচ্ছে উত্তরবঙ্গ সংবাদ মাধ্যমগুলি।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে গত অক্টোবর মাসেই একপ্রস্থ বিপদের সম্মূখীন হয়েছে উত্তরবঙ্গ। তিস্তার জল বেড়ে ফুলেফেঁপে ওঠে লাচুং নদী। রাস্তাঘাট তো বটেই পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক সেতুও। এই দুর্ঘটনার পর একটা লম্বা সময় পর্যন্ত পর্যটকদের অনাগোনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি সিকিমের এই পরিস্থিতি নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।
এইদিন IIT খড়গপুরের জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক শংকর কুমার নাথ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিকিমের মতো পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। অগাস্টের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জায়গাগুলি নিরাপদ।’
আরও পড়ুন : বন্দে-অমৃত ভারত তো হল! নিত্যপ্রয়োজনীয় লোকাল ট্রেন কবে? কপাল খুলবে উত্তরবঙ্গের?
তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্ষার সময় পাহাড়ের পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সমতলের বর্ষাকাল এবং পাহাড়ের বর্ষার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এদিকে এই সময়টাতেই পর্যটকদের পাহাড় ঘোরার ইচ্ছে চাগাড় দিয়ে ওঠে। অন্যদিকে এই সময়টায় একটু কম্পনেই গ্র্যাভিটি ফেলিউর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : কাকভোরেই ছিন্নভিন্ন পাকিস্তান, টুর্বুট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় নিহত প্রায় ১২ পাক আর্মি
একই সাথে অধ্যাপক শঙ্কর কুমার নাথ বলেছেন, সিকিমের মত একটি ধ্বস প্রবণ এলাকায় ঘনঘন বিপর্যয় হতেই থাকবে। আর এর পেছনে মূল কারণ হল, মানুষ দিনদিন প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। হোম স্টে, হোটেল তৈরির নেশায় একটার পর একটা গাছ কেটে চলেছে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গেলে এই ধরণের বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী বলে জানিয়েছেন IIT খড়গপুরের জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক শংকর কুমার নাথ।