বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই রাজ্যে চলছে এসআইআর বা স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে সময়সীমা বাড়লেও বাংলায় কেন দিনক্ষণ অপরিবর্তিত, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলায় অযথা তাড়াহুড়ো করছে নির্বাচন কমিশন।
কোথায় কতটা সময় বাড়ল?
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পাঁচটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।
- তামিলনাড়ু ও গুজরাটে সময়সীমা বেড়ে ১৪ ডিসেম্বর।
- মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ফর্ম জমা নেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
- উত্তরপ্রদেশে সময়সীমা পৌঁছেছে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনও বদলেছে কয়েকটি রাজ্যে।
- তামিলনাড়ু ও গুজরাটে তালিকা বেরোবে ১৯ ডিসেম্বর।
- মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, আন্দামান-নিকোবরে ২৩ ডিসেম্বর।
- উত্তরপ্রদেশে ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা।
কিন্তু বাংলায় কোনও দিনক্ষণ বদলানো হয়নি বলে খবর। বাংলায় আগের মতোই থাকছে সময়সীমা।
বাংলায় (SIR in Bengal) কেন এতো তাড়া?
গত ২৮ অক্টোবর বাংলায় এসআইআর (SIR in Bengal) ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে বিশেষ সংশোধনের কাজ শুরু হলেও তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে কমিশন। ২০০২ সালে রাজ্যে শেষবার হয়েছিল এসআইআর। ফলে এবার সেই বছরের ভোটার তালিকাকে ‘মাদার লিস্ট’ হিসেবে ধরা হয়েছে। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত কোনও নথি লাগবে না, এমনটাই নির্দেশ কমিশনের। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির “ষড়যন্ত্রে” বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
বাংলায় এসআইআর (SIR in Bengal) নিয়ে মানুষের সন্দেহ দূর করতে ইতিমধ্যেই ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে হেল্পডেস্ক চালু করেছে তৃণমূল। এছাড়া শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘মে আই হেল্প ইউ’ শিবির, যেখানে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তৈরিতে নবান্নের তরফে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা হবে।

আরও পড়ুনঃ বাবরি মসজিদ বানাতে গিয়ে বিপাকে হুমায়ুন কবীর! হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
প্রসঙ্গত, দেশের ৬টি রাজ্যে সময়সীমা পিছোলেও বাংলায় আগের তারিখই বজায় থাকছে (SIR in Bengal)। আর এতেই বাড়ছে প্রশ্ন যে, ভোটের ঠিক আগে এসআইআরে বাংলাকে ঘিরে কেন এত তাড়া? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়েই এখন তুঙ্গে বিতর্ক।












