ব্যর্থ ব্রেসওয়েলের লড়াই! গিলের দ্বিশতরানের পর সিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্মরণীয় জয় ভারতের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে অসাধারণ জয় পেলো ভারতীয় দল (Team India)। শুভমান গিলের (Shubman Gill) অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ম্যাচ জেতালেন মহম্মদ সিরাজ (Md Siraj)। আজকের এই ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ১০-২-৪৬-৪। বিপাকে পড়লেও মরিয়া লড়াই চালিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের লোয়ার মিডল অর্ডার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রথম ম্যাচে ১২ রানে সাউদি, বোল্ট, উইলিয়ামসন হীন নিউজিল্যান্ডকে হারালো ভারত।

আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার ওপেনিং পার্টনার শুভমান গিল আজ সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলে গেলেন হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। খেলেছেন ১৪৯ বল, করেছেন ২০৮ রান, মেরেছেন ১৯টি চার ও ৯টি ছক্কা। পঞ্চম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআইতে দ্বিশতরান করেছেন তিনি। ৪৫ ও ১২৪ রানে দুই বার তার ক্যাচ ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। এই জীবনদান গুলির পূর্ণ সুযোগ নেন তিনি। শেষ তিন ওভারে মোট ছটি ছক্কা মারেন তিনি, যেগুলি পরে ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

gill odi hundred

ভারতীয় দলের আর কোন ব্যাটার বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুভমান গিলের ২০৮ রানের ইনিংস বাদ দিলে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু হিটম্যান আজ ব্যাট হাতে ৩৮ বল খেলে মাত্র ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে বাকি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কতটা করুণ অবস্থা হয়েছিল। পিচ ব্যাটিং এর জন্য কখনোই খুব একটা সোজা ছিল না। কিন্তু শুভমান গিল যাবতীয় হিসাব পাল্টে দিয়েছিলেন। মিচেল স্যান্টনার (১/৫৬) ও ড্যারেল মিচেল (২/৩০) ছাড়া বাকি অনভিজ্ঞ কিউয়ি বোলিং লাইন আপকে ভুগতে হয় মারাত্মকভাবে।

এরপর নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতে ফিন অ্যালেন (৪০) ছাড়া কাউকে বিপদজ্জনক দেখায়নি। সিরাজ, শার্দূল, কুলদীপের সামনে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় কিউয়ি টপ-অর্ডার। মাঝে হাতে চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন শামি। ফিরে এসে ড্যারেল মিচেলকে বোল্ড করেন তিনি। কুলদীপ যাদবকে সামলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে কিউয়ি ব্যাটাররা। ২৫ ওভারের মধ্যে ১১০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় নিউজিল্যান্ড।

কিন্তু এরপর পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বদলে দেন সাম্প্রতিককালে অসাধারণ ফর্মে থাকা মিচেল ব্রেসওয়েল ও মাইকেল স্যান্টনার। তাদের মধ্যে ১৬২ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। ৫৭ বলে শতরান করেন ব্রেসওয়েল। ৩৮ বলে অর্ধশতরান করেন স্যান্টনার। প্রত্যেক ভারতীয় বোলারের বিরুদ্ধে অসাধারণ এবং আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তারা। কিন্তু একই ওভারে স্যান্টনার ও শিপলি আউট করে খেলা জমিয়ে দেন সিরাজ। তখনও ২৪ বলে ৫৫ রান বাকি ছিল নিউজিল্যান্ডের। এরমধ্যে শামি ব্রেসওয়েলকে রান আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান বাকি ছিল নিউজিল্যান্ডের। বল ছিল শার্দূল ঠাকুরের হাতে। কিন্তু প্রথম বলে সাত রান দিলেও এরপর ব্রেসওয়েলকে এলবিডব্লিউ করে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তিনি।

 


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর