বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্টের রায়ে একধাক্কায় বাতিল হয়েছে ২৬০০০ চাকরি। এসএসসি মামলায় (SSC recruitment Scam) ২০১৬ সালের প্যানেলের সকলের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, প্যানেল বাতিলের পর এসএসসি এবার নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। সমস্ত তথ্য যাচাই, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের কপি দেখে নতুন প্রকাশিত প্যানেলে যাদের যাদের নাম থাকবে তারা ফের পাবেন চাকরি।
হাইকোর্টের রায়ে একদিকে যেখানে কপাল খুলেছে এতদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে ধর্না দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের। ওদিকে কপাল পুড়েছে যোগ্য চাকরিচ্যুতদের। তাই এবার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা নামছেন ধর্নায়। এতদিন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না দেখেছে বাংলা। এ বার চাকরিচ্যুতদের ধর্না শুরু।
সূত্রের খবর, এদিন সকালেই শহিদ মিনার চত্বরে জমায়েত শুরু করেন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। ধর্না, আন্দোলনের পাশাপাশি তারা আইনি পথে হাঁটতে চলেছে বলেও জানা যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হওয়ার কথা ভাবছেন তারা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে SSC. স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারও।
চাকরিচ্যুতদের দাবি, তারা নিজেদের যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়েছিলেন। কোনো অবৈধ উপায়ে চাকরি পাননি। তা হলে কেন অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়াদের জন্য তাদের কেন শাস্তি পেতে হবে? প্রসঙ্গত, গতকালের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপার নিউমারারি পদ বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো চাকরি বৈধ হওয়া উচিৎ নয় বলেই এসএসসি মামলার রায়ে স্পষ্ট করে জানায় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত ভোটকর্মী আছে, কোনো সমস্যাই হবে না! ২৬০০০ চাকরি বাতিল নিয়ে জানাল কমিশন
হাইকোর্টের নির্দেশ, যারা প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা চাকরি পেয়েছেন, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। ১২% সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য করেন, ‘‘এ ছাড়া (চাকরি বাতিল করা) আর কোনও উপায় ছিল না।’’ ওদিকে চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, চিন্তা করবেন না, হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা পাশে আছি। যত দূর দরকার, আমরা লড়াই করব।’’