বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ ১৫ ই অগাস্ট ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে ভারত। জাতীয় ছুটির দিনে দেশ জুড়ে আনন্দের রেশ। অথচ সীমান্তের ওপারেই ছবিটা একেবারে অন্য রকম। ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ফের অশান্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধ্বংসপ্রাপ্ত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে যাতে হাসিনা অনুগামীরা যেতে না পারেন তার জন্য একেবারে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার।
বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের উত্তেজনা তুঙ্গে
এতদিন বঙ্গবন্ধুর ওই বাড়িতেই এই দিনে শোকজ্ঞাপন করতেন আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা অনুগামীরা। সেই বাড়ি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাও অবশ্য ইউনূসের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই। হাসিনার পতনের পরপরই একদল বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই বাড়িতে। সেই বাড়িতে এখন কড়া নিরাপত্তা।
এদিনই ঘটেছিল ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড: ইতিহাস বলছে, ১৯৭৫ সালে এইদিনেই বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার টু ফিল্ড রেজিমেন্ট আর বেঙ্গল ল্যান্সারের বাহিনীর গুলিতে ধানমন্ডির এই বাড়িতেই মৃত্যু হয় শেখ মুজিবের। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে সেদিন মৃত্যু হয়েছিল তাঁর শিশুপুত্র এবং অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধুরও। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা এবং রেহানা।
আরও পড়ুন : বিয়েবাড়ির স্বাদকেও হার মানাবে, এই পদ্ধতিতে রাঁধুন ‘গন্ধরাজ ইলিশ’, রইল রেসিপি
ধানমন্ডির বাড়িতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: এ বছরই ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে সেই ঘটনার। কিন্তু এদিন যাতে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাকর্মী বা অনুগামীরা ওই বাড়িতে যেতে না পারেন, তার জন্য বড় পদক্ষেপ করল ইউনূস সরকার। সেনা, জলকামান মোতায়েন থেকে পুলিশি ব্যারিকেড বসিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের অনুগামীদের। বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, কেউ যাতে কোনোরকম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেই কারণেই আওয়ামী লীগ বা তাদের কোনও ছায়া সংগঠনের সদস্যদের এই বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি নেই আজ।
আরও পড়ুন : “ছ’মাসে ছটা যুদ্ধ থামিয়েছি”, আবারও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির কৃতিত্ব দাবি ‘শান্তির দূত’ ট্রাম্পের
যদিও নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকলেও সম্পূর্ণ আটকানো যায়নি জনতাকে। সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকে বেশ কয়েকজন ঢোকার চেষ্টা করেছেন ওই বাড়িতে। একজন মহিলা ধ্বংসস্তূপে ফুল দিতেও গিয়েছিলেন। তাদের আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।