বাংলাহান্ট ডেস্ক : নন্দিনী দিদি (Nandini Didi), নামটা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাননি নিশ্চয়ই? সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যাঁরা রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ‘স্মার্ট দিদি নন্দিনী’কে (Nandini Didi) দেখে সে সময় মানুষ খাবারের থেকে ক্রাশ খেত বেশি। ডালহৌসিতে একটি পাইস হোটেল থেকে শুরু করেছিলেন নন্দিনী। মাঝে কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। এবার নিজস্ব এসি রেস্তোরাঁ খুলে ফেললেন তিনি।
নতুন এসি রেস্তোরাঁ খুললেন নন্দিনী (Nandini Didi)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সুখবরটা শেয়ার করে দিয়েছেন নন্দিনী (Nandini Didi)। কোথায় খুলেছেন রেস্তোরাঁ, কী কী সুবিধা আছে সমস্তটাই জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে এও বলেছেন, আগের দোকানটায় কাস্টমারদের যা যা সমস্যা হত এই রেস্তোরাঁয় আর তা হবে না। একেবারে নতুন ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁ খুলেছেন তিনি।
নতুন রেস্তোরাঁর ঠিকানা জানান নন্দিনী: নন্দিনীর (Nandini Didi) এই নতুন দোকানটি আকাঙ্ক্ষা মোড়ে। এনকেডিএ কমিউনিটি হলের উলটো দিকে, গাঙ্গুরামের গলির সামনে। পথনির্দেশ বাতলে দিয়ে নন্দিনী (Nandini Didi) বলেন, লোকে ভাবে তাঁর দোকান মানেই পাইস হোটেল, ফুটপাতের ধারে ধাবার মতো। তবে এবারে তিনি এসি রেস্তোরাঁ খুলেছেন। গরমে আর কাউকে কষ্ট পেতে হবে না। আগের দোকানে লাইটের সমস্যা ছিল। এটাতে সেটাও নেই। সকলকে তিনি পাশে দাঁড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: শাহরুখের এই নায়িকাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সলমন, অভিনেত্রীর বাবাকে প্রস্তাব দিতেই যা হয়…
কবে খুলছে নতুন দোকান: ইতিমধ্যেই নতুন দোকানে পুজো সেরে ফেলেছেন নন্দিনী (Nandini Didi)। আগামী ২৪ শে নভেম্বর উদ্বোধন হবে নতুন রেস্তোরাঁ। আর তারপরেই সকলের জন্য তা খুলে যাবে বলে জানান নন্দিনী। আগের মতোই এবারেও সকলকে নতুন রেস্তোরাঁতে আসার আবেদন জানিয়েছেন নন্দিনী (Nandini Didi)।
আরো পড়ুন: ২১ বছর পরেও অব্যাহত শাহরুখ ম্যাজিক, পুনর্মুক্তি পেয়ে ‘কাল হো না হো’র ব্যবসা ছাড়াল কোটির অঙ্ক!
প্রসঙ্গত, করোনার সময়ে বাবার পাশে দাঁড়াতে বেঙ্গালুরুতে নিজের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় আসেন নন্দিনী (Nandini Didi)। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। বাবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে শুরু করেন ডালহৌসির অফিস পাড়ার এক চিলতে ভাতের হোটেল। একদিন এক ইউটিউবারের চোখে পড়তেই ভাগ্য বদলে যায় তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সেই পাইস হোটেলে উপচে পড়ে কাস্টমারদের ভিড়। তবে সেই ফুটপাতের হোটেল এখন আর নেই। তারপর নিউটাউনে একটি খাবারের দোকান খুলেছিলেন নন্দিনী। আর এবার সটান এসি রেস্তোরাঁ। খ্যাতি কাজে লাগিয়ে যে উন্নতি করা যায় সেটাই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।