বাংলাহান্ট ডেস্ক : অগ্নিমূল্যের বাজারে শুধু চাকরি করে সংসার চালাতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকে। করোনা মহামারীতে বহু লোক চাকরি হারিয়েছেন। এরপর থেকে অনেকেই চাকরির অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু ছোট ছোট স্টার্টআপ সংস্থার জন্ম হয়েছে।
এই সংস্থাগুলি বেশকিছু মানুষের কর্মসংস্থানেও সক্ষম হয়েছে আবার অনেকেই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আপনিও যদি স্বাধীনভাবে নিজে কিছু একটা করতে চান তাহলে অবশ্যই ছোট থেকে শুরু করতে পারেন। ছোট ব্যবসা দিয়ে আরম্ভ করে আপনি একটা সময় বেশ মোটা টাকার মালিক হতেই পারেন।
আরোও পড়ুন : বিশ্বের দরবারে বাংলার জয়জয়কার! খড়গপুর IIT’র প্রাক্তনী চিন্ময় পেলেন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তকমা
এই ব্যবসার ফলে একদিকে যেমন আপনি নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন, তেমনই আপনার এই উদ্যোগের ফলে কর্মসংস্থান হবে একাধিক মানুষের। আজ আমরা এমন একটি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আপনাকে জানাব যেটির চাহিদা দেশের সর্বত্র রয়েছে। সাবান এমন একটি পণ্য যা প্রত্যেকটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
গোটা দেশে সাবানের তুমুল চাহিদা রয়েছে। ছোট করে সাবানের ব্যবসা আরম্ভ করলে আপনি খুব সহজেই মালামাল হয়ে যেতে পারেন। একটা সময় এই সাবানের ব্যবসা আপনাকে আপনার কাঙ্খিত স্বপ্নের উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। আমাদের দেশের বিভিন্ন শহর ও স্থানে স্থানীয় সাবান / ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ডের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
আরোও পড়ুন : ১৯১২ জন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ! পুজোর আগেই এই জেলাবাসীর জন্য দুর্দান্ত খবর
মাত্র ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনি ছোট সাবান ইউনিট আরম্ভ করতে পারেন। ১০০০ স্কয়ার ফুটের জায়গা প্রয়োজন হবে সাবান তৈরির কারখানা তৈরি করার জন্য। এরসাথে প্রয়োজন হবে এক্সট্রুডার মেশিন, ডাই, মিক্সচার মেশিনের। দিল্লি, জয়পুর ও লুধিয়ানার মতো শহরগুলিতে এই মেশিন পাওয়া যায়। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে উপলব্ধ এই মেশিনগুলি।
বেশ কিছু সরকারি কাগজপত্র লাগবে সাবান ইউনিট তৈরি করার জন্য। তাছাড়াও সাবান প্রস্তুতকারী সংস্থা করার জন্য ও মেশিন চালানোর জন্য দরকার হয় উপযুক্ত প্রশিক্ষণের। প্রথমদিকে ১৫% পর্যন্ত মার্জিন পেতে পারেন পণ্যের উপর। সঠিক মতো যদি এই ব্যবসা করা যায় তাহলে মাসে ৬ লক্ষ টাকার রোজগার করা কোনো ব্যাপারই নয়।