বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে একে একে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে টলি পাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরও। বিনোদন জগতেও লেগেছে দুর্নীতির আঁচ। শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) গ্রেফতারির পর থেকে তার সূত্র দেখে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে আসছে। এই কুন্তলের সূত্র ধরেই হদিশ মিলেছে নামি-দামি পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty)।
ধৃত কুন্তলের সঙ্গে সোমার বিপুল পরিমান আর্থিক লেনদেনের তথ্য এসেছে ইডির হাতে। এই সোমার সল্টলেকে এক শপিংমলে অবস্থিত স্যালোঁর বিজ্ঞাপনের মুখ বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) প্রেমিকা অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। দিন দুয়েক আগে জনপ্রিয় টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে তলব করেছে ইডি। তারপর একে একে সব সামনে উঠে আসতেই সোমার পার্লারে কৌশানীর বিজ্ঞাপনের ছবি এক রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে কী কৌশানী ও সোমা পূর্ব পরিচিত? উঠছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে এদিন এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন সোমা চক্রবর্তী। তিনি জানান, কুন্তলের মাধ্যমেই কৌশানীর সঙ্গে তার আলাপ হয়। সোমা বলেন, “যেহেতু বনির সঙ্গে কুন্তলের আলাপ ছিল সেই কারণেই আমি কুন্তলকে বলি কৌশানীকে দিয়ে আমার পার্লারের একটি বিজ্ঞাপন করব।”
তবে ঠিক কত টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপনের মুখ হয়েছিলেন টলি হিরোইন কৌশানি? এই প্রসঙ্গে সোমা বলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো টাকা নেয় নি কৌশানী। তার বদলে অভিনেত্রীকে ‘উপহার’ পাঠিয়েছিলেন সোমা। তবে কী সেই উপহার তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেন নি সোমা। ইডি সূত্রে দাবি, বনি-কৌশানী ছাড়াও অনেক টলি তারকাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার।
জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই বড় বড় পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল ঘোষ। সেখানে টলি তারকাদের সমাগম হতো বলেও সূত্রের খবর। থাকতেন সোমাও। কুন্তলের পার্টিতে বনি-কৌশানী ছাড়াও অন্য টলিউড তারকাদের দেখা যেত কী? এই প্রশ্নের উত্তরে সোমা জানান, “ঘটনার প্রায় পাঁচ-ছয় বছর হয়ে গিয়েছে। যদি কাউকে দেখেও থাকি এই মুহূর্তে সেই নাম প্রকাশ করা ঠিক উচিৎ হবে না।”
তবে সোমা কৌশানীর সাথে পরিচয়ের কথা মেনে নিলেও, কৌশানী সোমাকে চেনার কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। কৌশানীর যুক্তি, তিনি একজন অভিনেত্রী, বহু পার্লার উদ্বোধন করেন, তাই আলাদা করে সোমা চক্রবর্তীর কথা তার মনে নেই। তবে যেখানে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিকের বদলে পৌঁছয় দামী উপহার, সেই সম্পর্ক কী এতটাই ঠুনকো? নাকি এর পেছনেও রয়েছে কোনো রহস্য! উঠছে প্রশ্ন।