‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করেছে কিছু বিজেপি কর্মী’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের বিশ্লেষণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে রবিবার নন্দকুমার ৩ মণ্ডলের সভা থেকে দলের ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি আক্রমণ করতে ছাড়লেন না সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া মুকুল রায়কে।

তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৭০-১৮০ টা হয়ে যাবে ভেবে অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছিলেন। এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের প্রার্থীর সম্পর্কেই খারাপ মন্তব্য করেছেন। অর্থাৎ নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার মত বিষয়টা হয়েছিল’।

Suvendu Adhikari

এবিষয়ে কথা প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘অনেকেরই ধারণা ছিল খেজুরি, নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমারে তো জিতেই গিয়েছি, তাই চণ্ডীপুরে দল হারলে কোন অসুবিধা নেই। এরকম মনোভাবই কিন্তু পরাজয়ের জন্য দায়ী’।

বিভিন্ন নেতৃত্বের দল ছেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে কমী সমর্থককের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন, ‘এই যে টিভিতে দেখাচ্ছে বিজেপি ছেড়ে কখনও এ চলে যাচ্ছে, আবার কখনও ও চলে যাচ্ছে। এসব দেখে একদমই বিলচিত হবেন না। ভারতমাতার একজন বীর সন্তান হিসাবে বিজেপি করতে গেলে, পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ টু হওয়া থেকে রক্ষা করতে দলীয় পতাকাটাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে। কে গেল কে এল, ওদিকে অত বেশি কান দিতে হবে না’।

Suvendu Adhikari

এদিনের সভা থেকে মুকুল রায়কেও আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এর আগে কোনদিন নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপির ৫০ হাজার লিড ছিল লোকসভাতেই। আর ওই আসনে যে কাউকে দাঁড় করালে সেও জিতে যেত। তবে মুকুল রায়কে সিনিয়র লিডারের মর্যাদা দিয়ে ওই আসনে বিজেপি দাঁড় করিয়েছিল। কিন্তু উনি ছেলের ব্যবসা বাঁচাতে তৃণমূলে চলে গেলে আপনাদের কি করার আছে!’


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর