পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে বড়সড় রদবদল! তৃণমূলে যোগ দেবে সোমেন পুত্র? জল্পনা তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাবা সোমেন মিত্র আমৃত্যু প্রদেশ কংগ্রেসে থাকলেও ছেলে রোহন মিত্রের (Rohan Mitra) রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁর ট্যুইট ঘিরে রাজনৈতিক মহল সরগরম। স্পষ্টভাবেই তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রতি ‘শ্রদ্ধাশীল’ তিনি।

সোমেন পুত্রের এই আচরণে কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর আরও অস্বস্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম ওরফে দিলু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ করেছেন দলের এক আইনজীবী নেতা।

গত ৭ ই নভেম্বর সেই দিলুর পক্ষ নিয়ে রোহন মিত্র এক ট্যুইট করে লেখেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে কোনো স্টার ক্যাম্পেনারের প্রচার ছাড়াই দিলুদা এক লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। এমনকি দিলুদার এই ভোট সংখ্যা দক্ষিণবঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে সব থেকে বেশি ভোট ছিল। দিলু দাকে অসম্মান করে আখেরে দলের লাভ হলো না ক্ষতি, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে’।

5caea117 bce2 48e6 84bd 13ba9e370a7f

মমতা ব্যানার্জী প্রসঙ্গে রোহন মিত্র বলেন, ‘বাবার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর লড়াই থাকলেও, রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে কোনদিন ছোট করেননি। মমতা ব্যানার্জীর রাজনীতির লড়াইটাকে বাবা সব সময় সম্মানের চোখেই দেখতেন। বাবা নিজেও তৃণমূল স্তর থেকে লড়াই করে উঠে এসেছেন’।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে রোহন জানিয়েছেন, ‘বাংলার প্রদেশ যুব কংগ্রেসের ইতিহাস আমার সবটাই জানা। আমি সেখান থেকেই উঠে এসেছি। একটা সময় মমতা ব্যানার্জী কিভাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাও আমার জানা। তখনই আবার তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। মমতা ব্যানার্জীর সেই সকল মাইলফলক সৃষ্টি দেখে তাঁর প্রতি আমি অত্যন্ত ‘শ্রদ্ধাশীল’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর