বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার হায়দরাবাদের মহিলা পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত চার আসামির মৃত্যু হয়েছে পুলিশের এনকাউন্টারে। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদের যে জায়গা থেকে তরুণী চিকিত্সকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল ঠিক সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে প্রকার ধস্তাধস্তি করে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে ওই চার অভিযুক্ত আর তখনই বন্দুক চালায় পুলিশ এবং পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয় ওই চার অভিযুক্ত।
তবে পুলিশের এই এনকাউন্টার নিয়ে অনেকেই বিপক্ষে মতামত পোষণ করেছেন। এমনকি এনকাউন্টার নিয়ে মানবাধিকার কমিশন র তরফে তলব করে দেখার কথা শোনা গিয়েছে তবে পুলিশি এনকাউন্টার হলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বেশ কয়েকটি গাইড লাইন রয়েছে. এগুলি হল-
1. যদি পুলিশি এনকাউন্টারে কোনও অভিযুক্তের মৃত্যু হয় তা হলে এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে অবশ্যই এফআইআর দায়ের করতে হয়, এমনকি আদালতে সেই মামলা ওঠে যেটি ভারতীয় দণ্ডবিধির 158 নম্বর ধারা মেনে চলে। 2. এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটলে অন্য থানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে এবং পুরো বিষয় খতিয়ে দেখেন। 3. তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে যুক্ত করা হয়, এমনকি এই ঘটনার তথ্য তাঁদের জানানো হয়।
4. দি এনকাউন্টারের জন্য নিহতের পরিবারের তরফে বা আহতের পরিবারের তরফে আইনের সাহায্য ওয়ার ইচ্ছা থাকে সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকে। 5. এনকাউন্টারে যারা আহত হয় তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেট আহতদের বয়ান নিয়ে তদন্ত করে। 6. এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটলেই তদন্তের পর যদি দেখা যায় আধিকারিকের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ভারতীয় দণ্ডবিধির নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে সে ক্ষেত্রে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ থাকে এমন কি তাঁকে সাসপেন্ড অবধি করা হয়।
7. নিহতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। 8. এনকাউন্টারে ব্যবহৃত অস্ত্র বা সরঞ্জাম আধিকারিককে অবশ্যই ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিতে হয়। 9. এনকাউন্টারের পর কোনও পুলিশ আধিকারিক বা পুলিশ কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয় না, কিন্তু যদি কোনো সন্দেহ না থাকে তাই তদন্ত করার পর তাঁকে সম্মান জানানো হয়।