বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ বিরতির পর আবারও পর্দায় ফিরছেন সোনালি চৌধুরী (Sonali Chowdhury)। তবে এবার আর ধারাবাহিকে নয় বরং তিনি ফিরছেন সঞ্চালিকা হয়ে। জি বাংলা এবং স্টার জলসার পাশাপাশি সান বাংলাও এবার পা রাখল নন-ফিকশনের দুনিয়ায়। খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে গানের শো ‘বাংলা মেলোডি’। আর সেই অনুষ্ঠানই সঞ্চালনা করবেন সোনালি।
জানিয়ে রাখি, সান বাংলার এই প্রোগ্রামে সব ধরণের বাংলা গান গাইবেন প্রতিযোগীরা। এখানে আপনি শুনতে পাবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে অতুলপ্রসাদী, শ্যামা সঙ্গীত, আধুনিক, নজরুলগীতি, লোকসঙ্গীত–সব ধরনের গান। সূত্রের খবর, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই শো। তার আগেই খোলামেলা আড্ডায় বসলেন সোনালি চৌধুরী।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘এটা মূলত গান তৈরির গল্প, প্রত্যেক গান তৈরির পিছনে কোনও গল্প থাকে, শিল্পীদের গান যাপনের গল্প থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সঞ্চালনা করতে আমার বরাবরই ভাল লাগে। এর আগে অনেক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা আমি করেছি। তবে গান নিয়ে এই প্রথম। গানের জগতে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা আসছেন, তাঁদের সঙ্গে গল্প করছি, এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন : ‘জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ…’, শিক্ষক দিবসে কাঞ্চনকে নিয়ে বিশেষ পোস্ট শ্রীময়ীর! কটাক্ষের ঝড় নেটপাড়ায়
তবে সঞ্চালনা তো হল, বাংলা ধারাবাহিকে আবার কবে ফিরবেন সোনালি? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সম্প্রতি স্টার জলসায় লাভ বিয়ে আজকাল ধারাবাহিকে একটা চরিত্র করছি। চরিত্রটা মাঝে মাঝে ফিরে আসবে। অনেকটা সিনেমার ক্যামিওর মতো।’ উল্লেখ্য, এর আগে সোনালিকে দেখা গিয়েছিল ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’ সিরিয়ালে। আর সেই সিরিয়াল চলাকালীনই মা-কে হারিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : মাত্র ৫ মাসেই শেষ! বন্ধের মুখে জি বাংলার এই জনপ্রিয় সিরিয়াল, রইল শেষ সম্প্রচারের দিনক্ষণ
সেইসময় বাচ্চা সামলে কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল সোনালির পক্ষে। যে কারণে কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এসবের মাঝেও ‘হাতেখড়ি’, এবং ‘রক্তপাত’ নামের দুটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। ছেলে বড় হওয়ার সাথে সাথে আবারও কাজে ফিরছেন তিনি। এসবের পাশাপাশি বর্তমান দিনের সিরিয়ালের কনসেপ্ট নিয়েও কথা বললেন সোনালি।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই ধরনের কনটেন্ট বদলানো উচিত কিনা তা নির্মাতারা বুঝবেন। কিন্তু অন্যস্বাদের ধারাবাহিকের কথা যদি বলি, বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি তো অন্যস্বাদের ধারাবাহিক ছিল, সেখানে কোনও কূটকচালি ছিল না, কোনও তিনটে বউয়ের গল্প ছিল না কিন্তু টিআরপি কমের কারণেই বন্ধ হয়ে গেল। টিআরপি দেখলে বোঝা যায় দর্শক ঐ সব কূটকচালি দেখতেই ভালোবাসে। যদি সেটা না হত, তাহলে আজও বোধিসত্ত্ব চলত।’ এককথায় তিনি বলতে চাইলেন, আগের থেকে এগিয়ে না গিয়ে মানুষের মানসিকতা বোধহয় এখন পিছিয়েই গিয়েছে।