বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত শনিবারই প্রথম প্রার্থী তালিকা সামনে এনেছে বিজেপি (BJP)। আর তাতে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। নাম সামনে আসতেই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। গত সোমবারই ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটপ্রচার শুরু করেছেন তিনি। এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই দেওয়াল লিখন নিয়ে শুরু তর্ক বিতর্ক।
এইদিন দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার অভিযোগে দলবল নিয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছান সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের সাংসদের অভিযোগ, বিজেপির দেওয়াল লিখন নষ্ট করে ফেলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এমনকি বিজেপি তো সাংসদ তো এমনও অভিযোগ করেছেন যে, এই ঘটনার পেছনে ‘থানা’র প্রচ্ছন্ন মদতও রয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর সেই প্রতিবাদেই শুক্রবার বিডিও অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদ। যদিও আজ সরকারি ছুটি থাকার কারণে বিডিও অফিস বন্ধ ছিল। যে কারণে প্রথমে বিডিওর সাথে দেখা না হলেও চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সেখানে এসে হাজির হন বিডিও অফিসার।
আরও পড়ুন : রাজ্যের বেকারদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! গ্র্যাজুয়েশন পাশেই মিলবে চাকরি, বিরাট অফার নিয়ে এল IRCTC
এরপরেই তিনি সৌমিত্রকে সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল এবং এলাকার পুলিশকর্মীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। এমনকি তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলিতে কাউকে বসতে না দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
আরও পড়ুন : যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা, শনি-রবিতে শিয়ালদায় বাতিল বহু ট্রেন, বদলানো হল রুট
সৌমিত্রর কথায়, ‘সব চোরগুলো মিলে এখানকার পঞ্চায়েত গঠন করেছে। বিনা ভোটে জিতেছে ওরা। লোকসভা ভোটে মানুষ জবাব দেবে ওদের। থানার ওসি এখানে পঞ্চায়েত ভোট হতে দেয়নি। আমাদের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়া হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী পঞ্চায়েত ভোটের মতো লোকসভা ভোট হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার দিতে হবে। মানুষের রায় আমাদের পক্ষে গেলে আমরা পঞ্চায়েতে বসতে দেব না।’