বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাইক্লোন রেমাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা চলছে। কবে, কোথায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) এর কতখানি প্রভাব পড়বে তা নিয়েও আলোচনা অব্যাহত। এর মাঝেই সামনে ‘জোড়া বিপদে’র কথা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) ইতিমধ্যেই রেমাল কবে, কোথায় আছড়ে পড়তে চলেছে তা নিয়ে তথ্য জানাতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের স্মৃতি ফিরিয়ে আগামী ২৬ মে বাংলায় আঘাত হানতে পারে রেমাল। এসবের মাঝেই সামনে এল আরও এক ‘চিন্তার খবর’!
দক্ষিণ উপকূলে মূলত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এর ভালো রকম প্রভাব পড়তে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণও করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু এই সাইক্লোন (Cyclone Remal) নয়, আরও একটি বিপদের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। মনে করা হচ্ছে, আরও একবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে সুন্দরবন (Sundarban)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার ‘জোড়া আঘাত’ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস বলছে, সাইক্লোনের সঙ্গী হতে পারে ভরা কোটাল। মনে করা হচ্ছে, রবিবার মধ্যরাতে রেমাল আছড়ে পড়তে পারে। সেই রাতেই আবার ভরা কোটালের জন্য নদী, সমুদ্র ফুঁসে উঠতে পারে। রাত ১১টা নাগাদ সুন্দরবনের নদীতে ভরা কোটালের প্রভাব পড়বে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম! ষষ্ট দফায় রেকর্ড বাহিনী বাংলায়, ‘শুভেন্দু গড়ে’ সবচেয়ে বেশি
একদিকে ঘূর্ণিঝড়, তায় আবার দোসর ভরা কোটাল! সব মিলিয়ে রবিবার বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, বিধ্বংসী আয়লার স্মৃতি ফের একবার টাটকা হয়ে যেতে পারে রেমালের সৌজন্যে।
এদিকে আবার সুন্দরবনে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেই এই পরিস্থিতির জন্য এখানকার মানুষ বিপদে পড়েছেন। তবে যদি সত্যিই এমনটা হয় তাহলে আবার সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে নয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ বাঁধের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উঠছে।
ইতিমধ্যেই রেমালের মোকাবিলার জন্য লালবাজারে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাতে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় সেই জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে আবার শনিবার থেকে রেমালের প্রভাব দেখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা এবং তার আশেপাশে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।