বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য চালু করা হল নয়া পোশাকবিধি। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন ধরনের পোশাক পরে স্কুলে আসতে পারবেন এবং কোন ধরনের পোশাক পরে স্কুলে আসা নিষিদ্ধ।
এই নির্দেশিকা রাজ্যের সব স্কুলে পাঠিয়ে বলা হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেন সতর্ক থাকেন নয়া পোশাকবিধি সম্পর্কে। এমন ধরনের পোশাক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরতে হবে যা পড়ুয়াদের মনে কুপ্রভাব ফেলবে না। এছাড়াও জানানো হয়েছে, সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পাশাপাশি এই নির্দেশিকা মানতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলিকেও।
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত খবর! এবার কী কেন্দ্রের তরফে ফ্রি’তে মিলবে স্মার্টফোন,৩ বছরের ইন্টারনেট?
মহারাষ্ট্র সরকারের নয়া পোশাকবিধিতে বলা হয়েছে, স্কুলে জিন্স এবং টি-শার্ট পরে আসতে পারবেন না শিক্ষিকারা। এছাড়াও স্কুলে আসা চলবে না গাঢ় রং, নকশা করা বা ছাপা পোশাক পরে। শিক্ষিকারা শাড়ি পরতে পারেন। সালোয়ার-কুর্তা পরলে ওড়না থাকা আবশ্যিক তার সাথে। সব মিলিয়ে বলা যায়, পোশাকে শালীনতা বজায় রাখতে হবে।
আরোও পড়ুন : এবার ট্রেনের ইঞ্জিনেও বসল টয়লেট! তৈরি হল ভারতে প্রথম জলহীন শৌচাগার, নয়া চমক রেলের
পাশাপাশি জিন্সের প্যান্ট বা টি-শার্ট পরে স্কুলে আসতে পারবেন না শিক্ষকরাও। শোভনীয় জামা ও প্যান্ট পরতে হবে তাদের। ছেড়ে রাখা যাবে না জামা। গুঁজে জামা পরতে হবে শিক্ষকদের। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর মহারাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে শিক্ষক সমাজ।
একটি সংবাদমাধ্যমকে মুম্বাইয়ের এক স্কুল শিক্ষিকা বলেছেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পোশাক নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিও এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। ফলে পোশাক নিয়ে সরকারের এ ভাবে নাক গলানো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পছন্দ-অপছন্দের অধিকারে হস্তক্ষেপ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
নয়া পোষাকবিধি নিয়ে যখন মহারাষ্ট্র জুড়ে ক্ষোভ শুরু হয়েছে, তখন শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, “সবেমাত্র নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা ঠিক নয়। এই পোশাকবিধি না মানলে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”