ভারত বিদ্বেষের জেরে গদিচ্যুত হতে চলেছেন মুইজ্জু? বড় বিপাকে মালদ্বীপের ‘চীনপন্থী’ রাষ্ট্রপতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তিন মন্ত্রীর ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে মলদ্বীপকে (Maldives)। ভারত (India) বিরোধীতার জের পৌঁছে গেছে আর্থিক ক্ষতির পর্যায়ে। বিতর্ক এখন এমন পর্যায়ে যে, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুকে (Mohammed Muizzu) পদ থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে বলে খবর। সেই তিন মন্ত্রীকে তাদের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হলেও মালদ্বীপের অভ্যন্তরে এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এখন মহম্মদ মুইজ্জুর দলকে মোদী বিরোধী মন্তব্যের ভালো দাম চোকাতে হবে বলেই মনে করছে কূটনীতিকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মালদ্বীপের সরকার বদলেছে। ক্ষমতায় এসেছে মহম্মদ মুইজ্জুর দল। মহম্মদ সোলির ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন ‘চিনপন্থী’ মুইজ়ু। যার প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে মালদ্বীপ থেকে দূরে সরানো। ক্ষমতায় আসার আগে সেটাই বাস্তব করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। আর এই সবটাই হচ্ছে ড্রাগন সরকারের উস্কানিতে।

শুরু থেকেই ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। যেখানে গণতন্ত্রের রাস্তা ধরে পথচলা শুরু করার পর মালদ্বীপের সব প্রেসিডেন্টেরই প্রথম গন্তব্য হয়েছে ভারত। সেখানে মুইজ্জু গেছিলেন ভারত বিরোধী তুরষ্কতে। এবং তারপর তিনি পৌঁছেছেন চীনে। সবে মিলিয়ে মুইজ্জু সরকার যে ভারতের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতছ ইচ্ছুক নয় তা বেশ পরিষ্কার। তারপর থেকেই গর্জে উঠেছে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ, মহম্মদ সোলি-সহ একাধিক বিরোধী নেতা মন্ত্রীরা।

আরও পড়ুন : ১২৪ ধারার দাবি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ছাত্রনেতা

ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু আলী আজিমের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার দাবি তুলেছে পার্টি দ্য ডেমোক্র্যাটস-এর সদস্যরা। সেই সাথে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে সমন পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এইদিন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিরোধী দল এমডিপির নেত্রী মারিয়া আহমেদ শাসক দলের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারত মালদ্বীপের বন্ধু এবং সঙ্কটের সময় ভারতই প্রথম মালদ্বীপকে সাহায্য করতে আসে।’

আরও পড়ুন : থেমে গেল বিরল উদাত্ত কণ্ঠস্বর! ভক্তদের কাঁদিয়ে মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই প্রয়াত রাশিদ খান

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতি ছিল, কিন্তু বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক নষ্ট করছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের সুনামির সময় ভারত মালদ্বীপের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এছাড়াও করোনা মহামারিতে ৮৩০ কোটি টাকার সাহায্য পাঠিয়েছিল ভারত সরকার। বিগত ২০১৮ সালে মালদ্বীপের উন্নতির জন্য ১১ হাজার ৬ শো ৩১ কোটি টাকার সাহায্য পাঠিয়েছিল মোদী সরকার। তারপরেও মালদ্বীপের এই ব্যবহারের পর ভারত সরকার কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর