বাংলাহান্ট ডেস্ক: শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) নাকি গ্রেফতার হতে পারেন। লোকের টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে আপাতত চর্চায় রয়েছেন তিনি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জিমে ভর্তি করানোর নামে মানুষের থেকে মোটা টাকা নিয়ে তারপর জিমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মালিকপক্ষকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে, যে তালিকায় রয়েছেন শ্রাবন্তীও।
দু বছর আগে ‘ফিটনেস এম্পায়ার’ নামে একটি জিম খুলেছিলেন অভিনেত্রী। অভিযোগ সেই জিম নিয়েই। চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রাবন্তীর এই জিমের তরফে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, বছরে ১৮ হাজার টাকার পরিবর্তে একবারে সাড়ে সাত হাজার টাকা দিলে জিমে ভর্তি নেওয়া হবে।কিন্তু ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর তাদের বলা হয়, ফের চার হাজার টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত জিম ট্রেনার নিতে হবে।
কিন্তু এত টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়ার পরেও বেশিদিন জিমে যেতেই পারেননি উপভোক্তারা। দোল, হোলি নানান অজুহাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে জিম। এখনো পর্যন্ত দরজায় তালা ঝুলছে বলে অভিযোগ। এরপরেই বাধ্য হয়ে জিম মালিকের বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন উপভোক্তারা।
বিষয়টা নিয়ে আগে সংবাদ মাধ্যমের কাছে শ্রাবন্তী বলেছিলেন, যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তারা নিশ্চয়ই টাকা ফেরত পাবেন। সবকিছুর একটা সময় থাকে। কোনো কারণেই নিশ্চয়ই জিম বন্ধ করা হয়েছে। তিনি নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওদিকে নজর দিতে পারছেন না। তবে টাকা ফেরত পেয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী।
কিন্তু হঠাৎ করেই নিজের বয়ান বদলালেন তিনি। সাম্প্রতিক এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই শ্রাবন্তী দাবি করেন, এই জিমের সঙ্গে বহুদিন কোনো যোগাযোগ নেই তাঁর। যখন জিমটি খোলা হয়েছিল তখন তিনি ছিলেন বটে, কিন্তু বহুদিন কোনো যোগাযোগ তাঁর নেই এই জিমের সঙ্গে। টাকাপয়সারও কোনো লেনদেন হয়নি। ওই জিমের আরো দুই মালিক আছে বলে জানান শ্রাবন্তী। কিন্তু তাদের নাম নেওয়া হচ্ছে না।
কিছুটা অভিমানের সুরে অভিনেত্রীর সংযোজন, তাঁর জন্য ভিউ বেশি আসে বলে মানুষ তাঁকে নিয়ে চর্চা করে মজা পায়। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে দিনের শেষে তিনিও একজন মেয়ে। তাঁরও পরিবার আছে, সন্তান আছে। আর ভাল লাগছে না এসব, অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শ্রাবন্তী।