বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধূমপান ছাড়ার পথেই হাঁটলেন শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। দীর্ঘদিনের এই বদনেশাকে এবার বিদায় জানানোর সময় এসেছে বলেই বক্তব্য অভিনেত্রীর। অনেক বছর ধরে নেশা করতে করতে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। অগত্যা বাধ্য হয়েই এক সময়কার প্রিয় এই নেশাকে ‘টাটা বাই বাই’ বলতে হচ্ছে তাঁকে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা জানান, কথা বলতে এমনকি দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে তাঁর। বুকে একটা চাপ চাপ ভাব। চিকিৎসকের কাছে গেলে আগে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শই দেওয়া হবে। তাই নিজে আগেই সেই কাজটা করতে চান অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘সিগারেট ছাড়তে চাই, কলেজের প্রথম দিকে শুরু হওয়া আমার একটা বাজে অভ্যাস (না সিনেমায় এসে সিগারেট ধরিনি)। বাবার কাছে বকুনির সাথে এক দুবার মারও খেয়েছি (মোগ্যাম্বো বাবা ছিল তখন)। সেই বাবা আবার আমার কাছ থেকে সিগারেট চুরি করে খেয়েছিল। এরমি সম্পর্ক ছিল আমাদের।’
নবম-দশম শ্রেণিতে সিগারেটের সঙ্গে পরিচিত হন প্রথম পরিচয় শ্রীলেখার। বাবার ঘর থেকে সিগারেট চুরি করে ‘সুখটান’ দিয়েছিলেন তিনি। বাবা তখন জানতেন না। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে ছাইদানের বদলে ঘরের ফুলদানিতে ছাই ফেলেছেন। কিন্তু বাবার কাছে ধরা পড়েই গিয়েছিলেন শ্রীলেখা।
শুটিং সেটের বাইরে মেয়েকে দাঁড়িয়ে সুখটান দিতে দেখে ফেলেছিলেন সন্তোষ মিত্র। বাড়ি ফিরেই বাবার বকুনি, “এক হাট লোকের সামনে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে ফুক ফুক করে ধোঁয়া ছাড়ছে! মনে হচ্ছিল মেট্রো লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করি!”
এই বাবাই অবশ্য পরে মেয়ের কাছ থেকে সিগারেট চুরি করতেন। ধরা পড়লে পরামর্শ দিতেন, এত দামি সিগারেট না খেতে। শুধু কী বাবা, শ্বশুরমশাইয়ের ঘর থেকেও ফুলশয্যার রাতে সিগারেট চুরি করতে ঢুকেছিলেন শ্রীলেখা! সঙ্গ দিয়েছিলেন স্বামী (প্রাক্তন) শিলাদিত্য স্যান্যালও। সুখটানের নেশা ছেড়ে দিলেও এই স্মৃতিগুলো থেকেই যাবে শ্রীলেখার সঙ্গে।