বাংলাহান্ট ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল হয়েছে রাজ্যবাসী। পথে নেমে আন্দোলন করছে তাঁরা। ‘বিচার চাই , বিচার চাই’ রব উঠেছে বঙ্গজুড়ে। বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন টলিউডের একাংশ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অঙ্কুশ, ঐন্দ্রিলা পর্যন্ত প্রত্যেকেই বিক্ষোভ জানাচ্ছেন। বাদ যাননি শ্রীলেখা মিত্রও (Sreelekha Mitra)। বিচার চেয়ে একাধিকবার পথে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বিচার চেয়ে একাধিকবার রাজপথে হেঁটেছেন শ্রীলেখা মিত্রকেও (Sreelekha Mitra)
সম্প্রতি ‘মি-টু’র অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি (Sreelekha Mitra)। তাঁর অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে সিনেজগৎ। তিনি জানিয়েছেন অন্ধকারে তাঁকে অশালীন ভাবে ছুঁতে চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক রঞ্জিত। সংবাদ মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী (Sreelekha Mitra)। কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ছিলেন রঞ্জিত। তবে এই ঘটনার পর তাঁকে পদত্যাগ করার দাবি জানানো হয়। তারপরেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।
আরোও পড়ুন : আহত অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়! ভর্তি হাসপাতালে, কী হয়েছে অভিনেতার?
প্রসঙ্গত আর্টিস্ট ফোরাম, ইম্পা ও টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে উইমেন্স ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কার। টলিউডে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। এই সম্পর্কে শ্রীলেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন ‘হাসবো না কি কাঁদবো তা বুঝতে পারছি না। উইমেন্স ফোরাম তৈরি হচ্ছে অথচ চার বছর আগে আমায় বলা হয়েছিল আমি ভিক্টিম কার্ড খেলছি।’
আরোও পড়ুন : ‘৩ সপ্তাহের মধ্যে…’! সুপ্রিম কোর্টে বাংলার মুখ্যসচিব হাজিরা দিতেই বিরাট নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মিথ্যেবাদী, আমার কোনও যোগ্যতা নেই এসব যারা বলেছিল তারাও আজ এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যুক্ত। এদের বিরুদ্ধে কমিটি কে বসাবে? আমার নাম এখনও থাকলে আমি অবাক হতাম। এটা কিছুই নয় শুধুই একটা আই ওয়াশ। আমি কাদের ব্যাপারে কথা বলছি তারা বুঝতে পারছে। আপনি শুধু শুধু নিজের গায়ে নেবেন না।’
সম্প্রতি ফেসবুক থেকে বিরতি নিয়েছেন শ্রীলেখা। এই ব্যাপারে তিনি লেখেন ‘কিছুদিনের জন্য আনইন্সটল করছি ফেসবুকটা। আমার জন্মদিনের শুভেচ্ছা, পার্টি কিছুই আর ভালো লাগছে না। আমি আর্টিস্ট বা সেলিব্রিটি নই। আমি একজন সেনসিটিভ মানুষ। এত চাপ আমি আর নিয়ে পারছি না। চারিদিকে এই অবক্ষয় আমায় ক্লান্ত করে দিয়েছে। আমি এসবের থেকে দূরে যেতে চাই। আমার একটু ছুটির প্রয়োজন। তাই আমায় যোগাযোগ না করার চেষ্টা করাই ভালো।’