বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্পষ্ট কথা বললে, উচিত অনুচিতটা কারোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে, নিজের পছন্দ মতে জীবনযাপন করলে সে মেয়ে ‘অলক্ষ্মী’, ‘উচ্ছৃঙ্খল’। এমন একটা ধারণা বহুদিন আগে থেকেই মানুষের মনে চাপিয়ে দিয়েছে সমাজ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারণাগুলো বদলাচ্ছে। আর যিনি বদলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন সেই শ্রীলেখা মিত্রকেই (Sreelekha Mitra) দেখা গেল মা লক্ষ্মী রূপে।
কোজাগরী পূর্ণিমার দিন বাড়িতে বাড়িতে শাঁখের আওয়াজ, উলুধ্বনি। সুখসমৃদ্ধির আশায় চঞ্চলা লক্ষ্মীকে ধরে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত সকলেই। এদিকে নেটমাধ্যমেই এদিন ধরা দিলেন জ্যান্ত লক্ষ্মী ঠাকুর। লাল সাদা শাড়ি, সর্বাঙ্গে গয়না। সিঁথি ভরা সিঁদুর, হাতে পায়ে আলতা রাঙানো, এক হাতে ধরা ধানের ছড়া, অন্য হাতে বরাভয় মুদ্রা। মাথায় আর গলায় পদ্মের মালা। স্নিগ্ধ শ্রীলেখার দিক থেকে চোখ সরানো দায়।
বাস্তবে শ্রীলেখা ঠিক সমাজের চোখে ‘লক্ষ্মী’ নন। কখনো তাঁর পোশাক নিয়ে কথা ওঠে, কখনো আবার স্পষ্টবাদিতার জন্য কটাক্ষের মুখে পড়েন। এমনকি জন্মদিনে নিজের বাড়িতে, নিজের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসে মদ্যপান করেছিলেন বলে সেটা নিয়েও নীতিপুলিশদের সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন শ্রীলেখা।
বরাবর ট্রোলিংয়ের পালটা উত্তরও দেন শ্রীলেখা। মনের কথা মনে চেপে রাখার পক্ষপাতী নন তিনি। এহেন শ্রীলেখাকে লক্ষ্মী রূপে দেখে অবাক অনেকেই। মুগ্ধও বটে। একজন লিখেছেন, ‘পুরো মা লক্ষ্মী লাগছে।’ সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলেখার রসিকতা, ‘কিন্তু জীবনে কোনো চ্যানেল আমায় মহালয়া করায়নি।’
পরিচালক অনীক দত্ত মজা করে লিখেছেন, ‘ও সব কামনা বাসনায় কিছু হবে না। ক্র্যাশ ছাড়ুন লক্ষ্মীদেবী।’ অভিনেত্রী উত্তর দিয়েছেন, ‘ক্র্যাশ না ক্যাশ? ক্যাশ হলে তুমি দাও।’ আবার কেউ লিখেছেন, শ্রীলেখা লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর বরপুত্রি।
এর আগে দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা। সিঁথিতে সিঁদুর আর পায়ের আলতার ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘চ্যানেলে দেখানোর মতো জাঁকজমক ওয়ালা পুজো হয়না আমার বাড়িতে। আমার লক্ষ্মীমন্ত মা করতেন, সেই ধারাকে সম্মান জানিয়ে নিজের মতোন ছোট্ট পুজো করি বাড়িতেই। আমার মা ছিলেন আমার লক্ষ্মী, তবে একটা শুট করেছি যেটা আজ প্রকাশ্যে আসবে। জানাব কোথায়, কখন। ছবি দেখে ভাববেন না আবার দ্বিতীয় বিয়ে করলাম।’