বাংলাহান্ট ডেস্ক: ত্রিপুরায় দলীয় প্রচারে গিয়ে গ্রেফতার হন সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)। এক রাত জেলে কাটিয়ে সোমবার গরাদের বাইরে বেরোলেন তিনি। সোমবার সারাদিন কলকাতায় বিক্ষোভ কর্মসূচী, প্রতিবাদ মিছিল করেছেন তৃণমূল। রাজনৈতিক মহল উত্তাল। এদিকে শ্রীলেখা মিত্রর (sreelekha mitra) বক্তব্য, এত কিছু কাণ্ড হয়ে গিয়েছে তিনি নাকি কিছু জানেনই না!
সোমবার সন্ধ্যায় সায়নী জামিন পেতেই সংবাদ মাধ্যম শ্রীলেখার প্রতিক্রিয়া জানতে চায় এ বিষয়ে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন সায়নী তৃণমূলে যোগ দেন তখন ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। তীব্র হতাশা ঝরে পড়েছিল তাঁর কথায়। কিন্তু সায়নীর সঙ্গে এত বড় একটা কাণ্ড ঘটে যাওয়া নিয়ে নাকি ওয়াকিবহালই নন তিনি।
‘এই সময় ডিজিটাল’কে তিনি বলেন, জানেনই না বিষয়টা। কিছুই শোনেননি এ বিষয়ে। উল্লেখ্য, সায়নীর সঙ্গে এ যাবৎ কাল সম্পর্ক খারাপ ছিল না শ্রীলেখার। একসঙ্গে ‘মায়ের বিয়ে’ নামে একটি ছবিতে কাজও করেছিলেন তাঁরা সেখানে শ্রীলেখার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সায়নী। কিন্তু তিনি সবুজ শিবিরে যোগ দিতেই ক্ষুব্ধ হন শ্রীলেখা।
শোনা যায়, ঘনিষ্ঠ মহলে সায়নী কঠোর বামপন্থী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। শ্রীলেখার আক্ষেপ ছিল, বামপন্থীরা কোনো কিছুতেই বিক্রি হয় না জানতেন তিনি। শ্রীলেখার বক্তব্য ছিল, যখন পরিচালক অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’এর মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল তখন প্রতিবাদী স্বরদের মধ্যে একটা ছিল সায়নীর। তৃণমূল সরকারকে সেই সময় ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তাহলে হঠাৎ কি হল?
শ্রীলেখা বলেছিলেন, বড় কোনো টোপ পেয়েছেন সায়নী যার জন্য হঠাৎ নির্বাচনের আগেভাগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সায়নীকে ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে তৃণমূলের তরফে। এমনটা আগেই মনে ভেবেছিলেন শ্রীলেখা। তবে সেই সঙ্গে তাঁর এমনো বক্তব্য ছিল, টোপ পেলেই যে সেটা গিলতে হবে তেমন তো কোনো কথা নেই। উপরন্তু সায়নী যে টোপ গিলবে তা শ্রীলেখা ভাবতে পারেননি।
যথেষ্ট রাজনৈতিক ভাবে সচেতন মানুষ হিসেবেই পরিচিত শ্রীলেখা। দেশ ও রাজ্যের রাজনীতি নিয়ে খবরাখবর রাখেন এবং মন্তব্যও করেন। কিন্তু সায়নীকে নিয়ে এত বড় ঘটনা তাঁর চোখ কান এড়িয়ে যাবে তা নিয়েই হতবাক ওয়াকিবহাল মহল।