বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু মাস হয়ে গিয়েছে পিতৃহারা শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। যে মানুষটাকে জড়িয়ে বড় হয়ে উঠেছেন, কেরিয়ারে আরো উন্নতি করার স্বপ্ন দেখেছেন সেই মানুষটাই আজ নেই। বাবার না থাকাটা এখনো মানতে পারেন না শ্রীলেখা। তিনি বিশ্বাস করেন, বাবা তাঁর সঙ্গেই আছেন। মেয়েকে চোখে চোখে রাখছেন।
বুধবার ‘অভিযাত্রিক’ ছবির প্রিমিয়ারে একাই গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। কিন্তু পাশের আসনটি ফাঁকা রেখে দিয়েছিলেন, বাবার জন্য। প্রিমিয়ার থেকে নিজের সুন্দর একটি সেলফি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কাল শো তে আমার পাশের সিট টা খালি রেখেছিলাম। বাবা আমার সব ছবির প্রিমিয়ার শোতে সবার আগে পৌঁছে যেত। হয়তো কাল ছিলে আমার পাশে, গর্বিত পিতার মতো। আর একটু বাঁচতে পারতে বাবা, এখনো মানতে পারি না।’
শুভজিৎ মিত্রর ছবি ‘অভিযাত্রিক’এ অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপু ট্রিলজি’র অন্তর্গত ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শেষ অংশটুকু উঠে এসেছে অভিযাত্রিকের কাহিনিতে। ১৯৫৯ সালে সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার ছবির শেষে দেখানো হয়েছিল ছেলে কাজলের হাত ধরে বেরিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ওরফে অপু। অভিযাত্রিকে দেখানো হয়েছে কাজলের হাত ধরেই ফের ফিরে আসবে অপু। এই ছবিতেই রাণুদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ দেশ বিদেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি।
গতসেপ্টেম্বর মাসে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন কলকাতা’ ছবির প্রদর্শনীর জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। কলকাতায় ফেরার কিছুদিন পরেই বাবাকে হারান অভিনেত্রী। যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল শ্রীলেখার মাথায়। ঘটনার আকস্মিকতায় শোকস্তব্ধ অভিনেত্রীর খারাপ খবরটা ঠিক ভাবে জানানোরও ক্ষমতা বাকি ছিল না। একটু থিতু হতেই বাবাকে স্মরণ করে একের পর এক পোস্ট করেছিলেন শ্রীলেখা।
এখন অনেকটা সামলে উঠলেও মাঝে মাঝেই বাবার কাছে মন ছুটে যায় তাঁর। শরীর খারাপ হলে বাবা মায়ের আদর মিস করেন। কিন্তু সময় চলে নিজের গতিতেই। তাই মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে মনের জোর বাড়িয়ে জীবন বাঁচার চেষ্টা করছেন শ্রীলেখা।