বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) যেন সবেতেই আছেন। সামাজিক বিষয়ক কিংবা রাজনৈতিক যে কোন বিষয়েই কটাক্ষ করার সুযোগ তিনি হাতছাড়া করেন না। ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডের পর থেকে গায়ক থেকে নায়ক অনেকের বিরুদ্ধেই সুর ছড়িয়েছেন কুনাল (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) হুঁশিয়ারি শ্রীলেখা মিত্রর
এবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নিশানার বাম সমর্থক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যদিও অভিনেত্রীর সাথে তৃণমূল মুখপাত্রের (Kunal Ghosh) তরজা নতুন নয়, যা আরজিকর আবহে পেয়েছে নতুন মাত্রা। প্রসঙ্গত আরজিকর কান্ডের শুরুর দিন থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শ্রীলেখা। রাস্তায় নেমে সামিল হয়েছেন আন্দোলনে। তবে শুধু আরজিকরকান্ডই নয় বরাবরই স্পষ্টবাদী হিসেবে যে কোন বিষয়েই সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করেই শ্রীলেখার অতীত নিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুনাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘ ‘দেয়া নেয়া বা ছদ্মবেশী ছবিতে ড্রাইভারের ছবিতে কী অপূর্ব অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তমকুমার। তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ড্রাইভারের সঙ্গে যেন কীসব বাধিয়েছিলেন এক বিপ্লবী অভিনেত্রী। জল বহুদূর গড়ায় সেবার। কাগজেও বেরিয়েছিল। কপালে যে কী-লেখা!’
পাল্টা জবাবে শ্রীলেখা অবশ্য কুনাল ঘোষের নাম নিয়েই দিয়েছেন কড়া হুঁশিয়ারি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ফেসবুক পোস্টে শ্রীলেখা এদিন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুর মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় বিরোধী মননের মহিলা শিল্পীদের প্রতি এই আক্রমণ, এই অসভ্যতামি হতে পারে, এটা ভাবতেও পারতেন কেউ?’
আরও পড়ুন : ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ডাব বিক্রি! সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া যুবকই আজ সংগীত গুরু
তারপরেই সরাসরি কুনাল ঘোষের নাম নিয়েই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যাই হোক, প্রতিদিন বিভিন্নভাবে ওঁরা বিভিন্নজন আক্রমণ করছেন – আজও কুণালবাবু ২০০৪ -এ আমার একজন গাড়িচালকের অভব্যতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমার একজন পুলিশ আধিকারিকের কাছে করা অভিযোগের কথা বিকৃতভাবে বলেছেন- ঘটনাটা সেই সময় সম্ভবত কুণালবাবুর পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিলো। সেই পুলিশ অফিসার বর্তমানেও কর্মরত, আরও অনেক উচ্চপদে কর্মরত। কুণালবাবু কি এই প্রসঙ্গ তুলে ওই পুলিশ আধিকারিকের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুললেন?’
এরপরেই কুনাল ঘোষের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে তাঁর দলের মুখপত্র একজন মহিলা সম্পর্কে অর্ধসত্যকে এমন বিকৃতির সাথে প্রচার করছেন, যাতে কোনো সাধারণ মানুষ পরম কৌতুহলে অনেককিছু ভেবে বসতেই পারেন, তখন ডা. সুবর্ণ গোস্বামীর মতো আমিও আইনের আশ্রয় নিলে বলা হবে যে উনি তো শুধু ড্রাইভারের কথা বলেছেন! অথচ এটি বলার সময় তাঁর শরীরী ভাষা ও শব্দচয়ন দেখে / শুনে যেকোনো মননশীল মানুষই বুঝবেন যে ওঁর উদ্দেশ্য কী ছিলো!’
প্রসঙ্গত শ্রীলেখা মনে করেন কুনাল ঘোষকে তার দলনেত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেন না। তাই তাকে তিনিও নিজেও গুরুত্ব দিতে নারাজ। সেইসাথে এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানিয়ে রাখতে চাই যে আমায় যদি কলকাতা বা এই রাজ্যের অন্য কোথাও, এমনকি রাজ্যের বাইরেও কোনোরকম অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বা কোনো বিপদে পড়তে হয়, কোনও ক্ষতি হয়, তার দায় কুণালবাবুরা কিন্তু এড়াতে পারবেন না। এই স্টেটমেন্ট আমার দেওয়া রইলো’।