কাঞ্চনের স্বর্গীয় মাকে টেনে অশ্লীল মন্তব্য, ‘সামনে এসে বলুক, দেখি কত বড় বুকের পাটা’, গর্জে উঠলেন শ্রীময়ী

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mallick) স্বর্গীয় মাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল মন্তব্যে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। জনৈক নেটনাগরিকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছেন কাঞ্চন। আর এবার তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন স্ত্রী অভিনেতা শ্রীময়ী চট্টরাজও (Sreemoyee Chattoraj)। হুঙ্কার দিয়ে বললেন, যদি বুকের পাটা থাকে তবে ওই একই কথা কাঞ্চনের (Kanchan Mallick) সামনে এসে বলুক।

কাঞ্চনের (Kanchan Mallick) পাশে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শ্রীময়ীর

শ্রীময়ী বলেন, এই ভাষায় কেউ লিখতে পারে! তিনি যথাযোগ্য উত্তর দিয়েছেন। তবে গালাগালি তো আর দিতে পারবেন না। অনেক রাখঢাক করেই যোগ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, তিনি চান যে ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে আসা হোক। মন্তব্যে যা তিনি বলেছেন তা তাঁদের সামনে এসে বলুন। তাঁর কত বড় বুকের পাটা তা তিনি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন শ্রীময়ী।

Sreemoyee Chattoraj opened up about trolling about kanchan mallick mother

ঠিক কী ঘটেছে: ব্যাপারটা খোলসা করে বলা যাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীময়ীর একটি ভিডিওতে এক মহিলা অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। কাঞ্চন (Kanchan Mallick) বা শ্রীময়ীকে নিয়ে নয়, অভিনেতার মায়ের বিষয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরেই পদক্ষেপ নেন কাঞ্চন (Kanchan Mallick)। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমার স্বর্গীয় মা কী অপরাধ করেছেন যে এমন ন্যক্কারজনক মন্তব্য ধেয়ে আসবে!’

আরও পড়ুন : ফিরল কেকে-র স্মৃতি, বিদেশে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু জুবিন গর্গের

এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেতা: প্রথমে ইমেল মারফত সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কাঞ্চন (Kanchan Mallick)। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন কুরুচিকর মন্তব্যকারী ওই মহিলা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় মেকআপ আর্টিস্ট। এরপরেই উত্তরপাড়া থানায় মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘বাঁচাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু কোনও পদক্ষেপও করছে না’, পুলিশের ঘুষ-কাণ্ডে রাজ্যকে ঝটকা দিয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

এদিকে বিপাকে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চেয়েছেন ওই মহিলা। জানিয়েছেন, এমন ভুল আর করবেন না। কিন্তু এবার আর পিছু হটতে রাজি নন কাঞ্চন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেওয়ার নামে যা খুশি বলা যায়না, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন কাঞ্চন।